Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪,

সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে ডিএনসিসি মেয়রের আহবান

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম


সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে ডিএনসিসি মেয়রের আহবান

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ। আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। সামাজিক উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।

বিভিন্ন সোসাইটি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি আমি আহবান করছি একটি সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক উৎসব ও অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।’

শুক্রবার গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে ঢাকা ফ্লো কর্তৃক আয়োজিত ‘ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা এন্ড ওয়েলনেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল কিন্ত সবাই বাসা হতে বেরিয়ে এসে এ উৎসবে যোগ দিয়েছে। সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছে। এই মিলনমেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। শহরে দেখা যায় প্রতিবেশিরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। তাই প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন সামাজিক উৎসব আয়োজন করতে হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘জীবনে সফল হতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরী। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত এক্সারসাইজ, খেলাধুলা, মেডিটেশন, হেলদি ফুড, সুস্থ-সুন্দর বিনোদন এগুলো।যারা ব্যায়াম করে, ইয়োগা করে, খেলাধুলা করে, গান গায়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আমি তাদের পছন্দ করি। কিন্তু যারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধভাবে মাঠ, পার্ক ও খাল দখল করে আমি তাদের অপছন্দ করি, আমি তাদের বিরুদ্ধে।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ওষুধের দোকানে গ্যাসের ওষুধ, প্যারাসিটামল এসব বেশি বিক্রি হতো কিন্তু বর্তমানে ডিপ্রেশনের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি যুবসমাজকে খেলাধূলায় অংশ নিতে হবে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মানুষকে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ডিপ্রেশন থেকে দূরে রাখে। বনানীতে আমরা আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট পিচ রয়েছে এই মাঠে। কালশী ফ্লাইওভারের পাশে বালু মাঠে ঢাকার শহরের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ ও শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে। আগারগাঁও যেখানে বাণিজ্য মেলা হতো সেই মাঠেও খেলার মাঠ হবে।’

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবে ইয়োগা সেশন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো পার্কে ছিল বাহারি পণ্য সামগ্রীর প্রায় ৩৫ টি স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্য সেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরো ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। ১০ ও ১১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

এইচআর

Link copied!