নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৩, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৩, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এটি হবে তার ব্যর্থতা এবং তার জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার লেখেন, “কোনো ব্যক্তি বা দল নয়, ড. ইউনূসের উচিত জনগণের ঐতিহাসিক অভিপ্রায়কে সম্মান করা এবং কোনো গোষ্ঠীর চাপে বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণের ওপর আস্থা রাখা।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তাকে নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আসনে বসিয়েছে। এখন তার দায়িত্ব খুনিদের বিচার করা, নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরি করা এবং জনগণের স্বার্থে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।”
ফরহাদ মজহার আরও উল্লেখ করেন, “ড. ইউনূসকে কর্পোরেট আগ্রাসন প্রতিহত করে একটি গণবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব অর্থনৈতিক নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি মিয়ানমার ও দিল্লির মতো শত্রুদেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব বাংলাদেশের কাঁধেই বর্তাবে। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত শক্তি ও সাহস। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী জনগণের অংশ, তাদের স্বার্থও জনগণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”
ড. ইউনূস ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, “জনগণ চায়, প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হোক। কারণ নির্বাচন দ্রুত হোক, তবে কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে লুটেরা ও মাফিয়া গোষ্ঠীকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার প্রচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।”
সেনাপ্রধানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই মন্তব্য সেনাপ্রধানের এখতিয়ারের বাইরে এবং তা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সে দায় তখন সেনাপ্রধানকেই নিতে হবে।”
পোস্টের শেষে ফরহাদ মজহার বলেন, “সবাই যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করেন—জনগণ সেই আশাই করে।”
ইএইচ