ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পতিত জমিতে ড্রাগন চাষে সাফল্য

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

কাশিমপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

আগস্ট ৩, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

পতিত জমিতে ড্রাগন চাষে সাফল্য

ড্রাগন ফল। নামটি শুনলেই চীন, ভিয়েতনাম, থ্যাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের নাম ভেসে উঠে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও হচ্ছে এই সুস্বাদু ফলের চাষ। বাজারে এখন পর্যাপ্ত জোগান না থাকলেও দামি হোটেলে প্রায় দেখা মেলে এ ফল। এবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এর চাষ শুরু হয়েছে। তবে সুস্বাদু ড্রাগন ফলটি ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুবই উপকারি ফল। ডায়াবেটিস রোগে চিকিৎসকরা ঔষধের পাশাপাশি এ ড্রাগন ফলকে যুক্ত রাখেন।

গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় দুই একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন মাসুম রানা।ড্রাগন বাগানের মালিক মাসুম রানা বলেন, প্রতিটি চারা ৪০থেকে ৫০ টাকা করে কিনে আনা হয়। আর গাছ থেকে ফল পেতে প্রায় দশ থেকে এগারো মাস সময় লেগে যায়। ড্রাগন ফলের বাগানের প্রতিটি পিলারে রোপণকৃত ৫ থেকে ৬ টি চারা থেকে  ফল পাওয়া পর্যন্ত একহাজার পাঁচশত টাকা খরচ পড়ে। আর এক বছরে একটি পিলারে থাকা ড্রাগন গাছ গুলো থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০কেজি ফল পাওয়া যায়। এতে প্রতি পিলার ড্রাগন গাছগুলো থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা যাচ্ছে। এ ফল গাছ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এছাড়াও বাগান থেকে প্রতি বছর ড্রাগন ফল বিক্রি করে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা আয় করা যাবে।

তবে এ ফলের বাজারে পর্যাপ্ত না থাকায় ঢাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে পাইকারী ফল বিক্রেতাদের কাছে।উপজেলায় ইদানিং এ ফলের চাষ অনেকেই শুরু করেছেন।

এ ড্রাগনের পরিচর্যাকারী রহমান মিয়া বলেন, এ গাছগুলো(পিলার)বার, কীটনাশক, পানি দিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিস্কার পরিছন্ন ও গাছের পরিচর্যা করে আসছি। এখন বাগানে ফল দেওয়া শুরু করেছে। এই ফল খেতে খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি হলেও সহজে বাজারে পাওয়া যায় না। চলতি সপ্তাহে ফল তোলা শুরু করা হয়েছে। এ ড্রাগন ফলের বাগানে প্রায় নয় হাজার তিন শত গাছ (১০০০ হাজার পিলার) রয়েছে। এ বাগান থেকে আগামী ২৫ থেকে ৩০ বছর ফল পাওয়া যাবে।

উক্ত বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ড্রাগন ফলটা খুব দামি এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি চীন, ভিয়েতনাম, থ্যাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে বিভিন্ন দেশে রোগ নিরাময় করতে এ ড্রাগন ফল খেয়ে থাকেন। আমাদের উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে অল্প পরিসরে এ ফলের চাষ শুরু করেছেন। নিশ্চয়ই তারা লাভবান হবেন।

কেএস 

Link copied!