Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪,

জেলা পরিষদ নির্বাচন

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ থেকে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া

আগস্ট ২৮, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম


কুষ্টিয়ায় আ.লীগ থেকে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর থেকে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রার্থী নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা হিসেব নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। কে হবেন এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী? আগামী ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন দাখিলের এবং ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন বাছাই এবং ২৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ধার্য্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার। তবে এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাকরা এই নির্বাচনের রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পরপরই কে হবেন পরবর্তীতে চেয়ারম্যান তা নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় নেতা কর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ইতোমধ্যে ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমান প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম মনোনয়ন পাচ্ছেন  নাকি অন্য কেউ পাবেন তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এবার নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার এই গুরুত্ব পূর্ন প্রতিষ্ঠানটি পদ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে  রয়েছে আগ্রহ ও কৌতুহল। সেই সাথে চেয়ারম্যান পদে আসতে নেতারাও গ্রুপিং লবিং অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে বির্তকিত বা কোন নেতার পকেটের কাউকে  চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায় না দলীয় নেতা কর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে তাকে আবারও জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা আয় বর্হিভুত সম্পদ তদন্ত করছেন দুদক। হাজী রবিউল ইসলামকে চিঠিও দিয়েছেন দুদক।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, আমি পরিষদের চেয়ারম্যান হবার পর সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছি। আমার জানা মতে আমি কোন দূর্নীতি বা অনিয়ম করেনি। আমার নেতা কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আমল হানিফের পরামর্শে  জনকল্যাণে কাজ করেছি। নেত্রী যদি আমার উপর আস্থা রাখেন তা হলে নির্বাচন করতে আমি প্রস্তুত আছি। আমি যদি এবার চেয়ারম্যান হতে পারি তা হলে বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারবো।

এদিকে গত দুইবার মনোনয়ন না পেয়ে হতাশ হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। প্রথমবার জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের সময় আজগর আলীর নাম তালিকায় রাখা হয়। ২৩ বছর ধরে জেল, জুলুম অত্যাচার সইয়ে রাজনীর মাঠে টিকে থাকা আজগর আলী প্রতিবারই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। দলের গ্রুপিং এর কারনেই স্বচ্ছ ইমেজের এই নেতা এবার দলীয় সমর্থন পাবেন বলে মনে করছেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী আওয়ামী লীগের দলীয় নানা পদে স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কুষ্টিয়া ইউনিটের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছাত্র রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

আজগর আলী বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে দেশ স্বাধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলাম। রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। ২৩ বছর ধরে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছি। নেত্রী যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেয় তা হলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো। আর আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে জেলা পরিষদের দূর্নীতি অনিয়ম ও সিন্ডিকেট রয়েছে তা শক্ত হাতে দমন করবো ইনশা আল্লাহ।

এদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চান বলে তার দলীয় অনুসারীরা জানায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন  পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। টানা ৪ বার খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের অপর এক সাবেক প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর এর নাম ও শোনা যাচ্ছে। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি ও নির্বাচন করতে রাজি আছেন।

সব মিলে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের হেবি ওয়েট নেতাদের নাম ব্যাপক প্রচারে রয়েছেন। কে হবেন এবারের চেয়ারম্যান প্রার্থী? সব কিছুই নির্ভর করছে নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপর।

কেএস 

Link copied!