Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

চুয়াডাঙ্গায় সার সংকট: বিএনপি নেতা মীর মহিউদ্দিনের কাছে জিম্মি কৃষক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০২:১১ পিএম


চুয়াডাঙ্গায় সার সংকট: বিএনপি নেতা মীর মহিউদ্দিনের কাছে জিম্মি কৃষক

চুয়াডাঙ্গায় সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। আর এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন এর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মীর মহিউদ্দিন মহির।

চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের জমিতে সার দিতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সার সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনুসন্ধানে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন রাসায়নিক সারের জেলাওয়ারি মাসভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী সারের সংকট রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলেও, সংশ্লিষ্টরা বলছেন জেলায় সারের কোনো সংকট নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি টিএসপি সার ২২ টাকা, এমওপি/পটাশ সার ১৫ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা, ইউরিয়া ২১ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু জেলার আটটি উপজেলার অধিকাংশ সারের ডিলার, সাব ডিলাররা টিএসপি সার বিক্রি করছে ৩০ টাকা, এমওপি ২০/২২ টাকা, ডিএপি ২০ টাকা, ইউরিয়া ২১/২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। একমাস আগেও এক বস্তা ইউরিয়া সার ১১০০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন এর দাম ১২৫০ থেকে ১৩৫০ টাকা। অনেক জায়গাতেই দেখা মিলছে না পটাশ সার। কয়েক জায়গায় এমওপি/পটাশ সার পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বহু জায়গায় টিএসপি সারের সংকটও তীব্র।

কৃষকরা বলছেন, সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলেন। তবে দাম বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু ডিলার দোকানে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখলেও সেই অনুযায়ী বিক্রি করছেন না। এমনকি তালিকায় সারের মূল্য লিখছেন না। বিক্রেতারা সরকারি দলের রসিদ দিলেও বাড়তি দরের রসিদ দিচ্ছেন না। প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি করবেন না স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার কাছে বিক্রি করা সার কেড়ে নিয়ে রেখে দিচ্ছেন অধিকাংশ ডিলার। সরকার বিভিন্ন সারের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরও সেই দামে সার বিক্রি করছেন না অনুমোদিত বিএসইসি ডিলাররা এমন অভিযোগ প্রান্তিক কৃষকদের। যার কারণে সার ডিলার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলার চার উপজেলার হাজার হাজার প্রান্তিক কৃষক।

এ বিষয়ে জেলার সচেতন মহল ও খুচরা বিক্রেতা ও কয়েকজন ডিলার অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতা মীর মহিউদ্দিন এর কাছে সবাই জিম্মি, তিনি এই সার সিন্ডিকেটের মূল হোতা। বিএনপি জামায়াতের নেতা হয়েও সে চুয়াডাঙ্গা সহ সারাদেশের বিএডিসি ডিলারদের সার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, একজন ব্যক্তি একটি বিসিআইসি লাইসেন্স পেলেও তার নামে রয়েছে তিনটি বিসিআইসি লাইসেন্স, দুইটি বিএডিসি, দুইটি গ্যাস পাম্পের লাইসেন্স সহ আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর, হালসা, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে শত কোটি টাকার সম্পত্তি। গত ত্রিশ বছর আগেও কিছু ছিলো না কিন্তু বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক সে।

সম্প্রতি ডিলার সিন্ডিকেটের সীমাহীন অনিয়মের কারণে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সারের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার পরিচালক সজল আহমেদ। এ আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকা জরিমানা করে।

Link copied!