ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

যমুনার তীব্র ভাঙন, শাহজাদপুরে অর্ধশত বাড়িঘর বিলীন

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১৪, ২০২২, ১০:৫২ এএম

যমুনার তীব্র ভাঙন, শাহজাদপুরে অর্ধশত বাড়িঘর বিলীন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা যমুনা নদী অধ্যুষিত দুর্গম জালালপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় অসময়ে যমুনার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অর্ধশত বাড়িঘর, জমিজমা ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে যমুনায় ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ায় দিশাহারা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শত শত ভাঙনকবলিত মানুষজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন থেকে জালালপুরসহ পাশের এলাকা রক্ষায় ২০২১ সালে ৬৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার পশ্চিম তীরে ছয় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করলেও পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়।ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে জালালপুরে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।

এই এক সপ্তাহে অর্ধশত ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা বিলীন হয়েছে। ভাঙনের এই তাণ্ডবে আতঙ্কে  দিন কাটাচ্ছে যমুনার তীরের মানুষ। এলাকাবাসী জানায়, ভাঙনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বাড়িঘর সরানোর সময় পাচ্ছে না তারা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর উত্তরপাড়া মহল্লার ওমর আলী, আবু হানিফ, পলাশ মণ্ডল, বাবু, সাদ্দাম, আরিছ, খলিল, আব্দুস সালাম, জেলহাজ,  ইয়াছিন প্রমুখ বাড়িঘর হারিয়ে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন যাপন করছেন।

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আজও ১৫টি বসতবাড়ি এবং ফসলি জমি যমুনায় বিলীন হয়েছে। গত তিন মাসে এভাবে সাড়ে তিন শ ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় এলাকাবাসী এখন দিশাহারা। ’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী বর্ষার আগেই জালালপুরে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। জালালপুরসহ তিনটি স্থানে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। ’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ’

টিএইচ

Link copied!