ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

রাণীশংকৈলে মন্দিরের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০৭:৪৯ পিএম

রাণীশংকৈলে মন্দিরের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দেবোত্তরের নামে থাকা জমি উদ্ধার ও জমি রক্ষার দাবিতে অভিযোগ করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। উপজেলার ৭নং রাতোর ইউনিয়নের (ডুমুর কালি) কালি মন্দিরের জায়গা দখলের নেওয়ার অভিযোগ তুলে বেহাত হওয়া জায়গা উদ্ধার ও জমি রক্ষার দাবিতে অভিযোগ করেছেন স্হানিয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

প্রায় শতাধিক স্হানিয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিস বরাবর দায়ের করেন তারা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বহু শতাব্দী প্রাচীন কাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৭নং রাতোর ইউনিয়নের মালিভিটা নামক এলাকায় (ডুমুর কালি) কালি মন্দিরটিতে পূজা অর্চনা করে আসছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। উপজেলার মধ্যে বেশ বৃহৎ কালি মন্দির হওয়ায় মন্দিরটিতে প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা অর্চনা করে আসছে ভক্তরা। তবে মন্দিরের মোট জমি ১৯ শতাংশের মধ্যে অধিকাংশই বেদখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। মন্দিরের নামে থাকা জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

ডুমুর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দীপ মঙ্গল জানান, প্রাচীন কাল থেকে আমার বাবা, দাদারা এই মন্দিরে পুঁজা আর্চনা করে এসেছেন। জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পুজা আর্চনা পালিত হতো এই মন্দিরে। অথচ মন্দিরের জায়গা সংকটের কারণে তেমন বৃহৎ ভাবে পূজা উয্যাপন করতে পারি না।

উক্ত মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন বলেন, দেবোত্তরের নামে সি এস,এস এ রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও কালি মন্দিরের জায়গা বেদখল রেখেছে ভুমিদস্যুরা। মন্দিরের নামে থাকা জমি ভুমিদস্যুদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। এসময় তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি মূল মন্দিরের ভবনের পাশে থাকা ফাকা জায়গা জোর পূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করে ঐ এলাকার আনারুল ইসলাম নামে একজন। এতে বাধা দিলে মন্দির কমিটির উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। এতে মন্দিরে পূজা কার্যক্রম ব্যাহত ও নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত থাকতে হচ্ছে ভক্তদের।

এদিকে আনারুল ইসলাম বলেন, ওটা মন্দিরের জায়গা নয় ওটা সরকারি খাস পুকুরের জায়গা। আমি যেহেতু ঐ পুকুর দেখাশোনা করি সেহেতু ওখানে রাতে থাকার জন্য ছোট একটি ঘর তুলতে চেয়েছিলাম। তারা নিষেধ করায় ঘর তুলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মন্দিরের যেদিকে জমি আছে সেদিকে মন্দির নেই।

এমতাবস্থা থেকে নিরসনে প্রশাসনের মাধ্যমে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের দাবি একই সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অর্চনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্হানিয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

উল্লেখ্য, জমির তফসিল অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৭নং রাতোর ইউনিয়নের মালিভিটা মৌজার জে এল নং ৪২ খ: নং: ৫/১ দাগ নং ৫৮১/৫৮৩/৫৮৫ জমির পরিমাণ ৬/৮/৫ শতক জমি দেবোত্তরের নামে (এস এ রেকর্ড) মালিকানা রহিয়াছে।

রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা এ বিষয়ে জানান, কালি মন্দিরের জমি উদ্ধারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। জমির মাঠ পর্চা, রেকর্ড যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস 

Link copied!