Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

গৌরীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১২ শিক্ষকের পদ শূন্য

মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর  প্রতিনিধি

মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর প্রতিনিধি

নভেম্বর ২২, ২০২২, ০৩:২৬ পিএম


গৌরীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১২ শিক্ষকের পদ শূন্য

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিভিন এলাকার ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ৬০ জন নেই সহকারী শিক্ষক। অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে এবং সরাসরি নিয়োগ না থাকায় এতোগুলো পদ শূন্য হয়ে আছে।

এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরা (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশপাশি পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ ও পাঠদান কার্যক্রম অনেকটাই ব্যহত হচ্ছে মনে করেন স্থানীয় অভিভাবকরা।

উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৭৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক নেই ৫২টি বিদ্যালয়ে এবং সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ৬০টি। এসব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষক সংকট নিয়ে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি অনেক ক্লাশ নিতে হয়। আবার প্রধান শিক্ষক না থাকলে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

এতে দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারেন না। সব মিলিয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুদে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে নায়ানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর বাবা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেটা চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে কিন্তু বাড়িতে এসে বলে দুই তিনটার বেশী ক্লাশ নেওয়া হয়না। আপনারাই বলুন দুইজন শিক্ষক দিয়ে কিভাবে একটা স্কুল চলে।

উপজেলার কড়েহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মদিনা আক্তার জানান, ২০১২ সাল থেকে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য ও দুইজন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে আমাদের বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষক থাকার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে আমরা চারজন আছি প্রধান শিক্ষকসহ তিনটি শূন্য পদ রয়েছে। আমার দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি আমাকেও পুরোদমে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ৪জন শিক্ষক মিলে পাঠদান করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছি আমরা।’ দ্রুত শূন্যপদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিলে এ সকল সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস ২০১৩ সালে জাতীয় করন হওয়ার পর থেকেই দুইজন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করে যাচ্ছি, আমাদের বিদ্যালয়ে  এ ছাড়াও বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন আমাকে ক্লাস নিতে হয়। এতে ঠিক মতো না হয় দাপ্তরিক কাজ, না হয় পাঠদানের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে  জানতে চাইলে গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, উপজেলায় ৫২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৬০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। বিষয়টি চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে এই সংকট কেটে যাবে।

এআই

Link copied!