Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

বছর না যেতেই প্রভাবশালীদের দখলে হিসনা নদী

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম


বছর না যেতেই প্রভাবশালীদের দখলে হিসনা নদী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মৃতপ্রায় হিসনা নদী পুনরুদ্ধারের জন্য ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ২০মিটার প্রস্থ আট কিলোমিটার নদী খনন করা হয়েছিল ২০২২ সালে। নদী খনন কাজের উদ্ভোধন করেছিলেন দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই সেই নদী একটি প্রভাবশালী চক্রের দখলে। 

তথ্য মতে জানা যায়, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুন:খনন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি বাঁধের বাজার হতে হিসনাপাড়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার হিসনা নদী খননে ব্যায় ধরা হয়েছিল ৭ কোটি টাকা। সেসময় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া।  

প্রকল্প এলাকার মানুষের আশা ছিল খনন শেষে জলাবদ্ধতা নিরসন, অবৈধ দখল, দেশীয় মাছ আহরনসহ নদী’র পারি প্রবাহ ঠিক থাকবে উন্নতি হবে অর্থনীতির।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পারি প্রবাহ রোধ করে নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মহিষকুন্ডি বাঁধের বাজার হতে হিসনাপাড়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার হিসনা নদী প্রায় সবটুকুই অংশ মোতাবেক নেট দিয়ে দখল করা হয়েছে মাছ চাষের জন্য। এমনকি যেখানে ব্রিজ আছে সেখানে মাটি দিয়ে উঁচু করে পুকুরের মত করে রাখা হয়েছে। দেখে যেন মনে হচ্ছে নদী এখন পুকুরে পরিনত হয়েছে। ফলে নদী খননের কোন রকম সুফল-ই ভোগ করতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
নেট দেওয়া বাঁধের ছবি তোলার সময় মাছের ঘের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন। সেসময় তারা ছবি তোলার কারন জানতে চান। সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি। 

তবে তারা বলেন, নেট দিয়ে বাঁধ দিয়েছি স্থান ভাগাভাগি করে মাছ চাষ করার জন্য। যাতে করে এক জনের মাছ অন্য জনের দখলীয় যায়গার মধ্যে যেতে না পারে। 

তারা আরও বলেন, যখন যে ক্ষমতায় আসে তখন তাদের লোকজন মাছ চাষ করে। এখানে সাধারণ মানুষের বলার কিছু নেই।

উপজেলা মৎস্য অফিসার হোসেন আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নদীটি ইজারা হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। যেহেতু নদীটি আপনার উপজেলায় ইজারা দেওয়া হলে বিষয়টি আপনার জানা উচিৎ ছিল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।  

এ ব্যাপারে দৌলতপুরের ইউএনও আব্দুল জাব্বার বলেন, সরকারি খাল ও নদী মাছ চাষ করার জন্য জেলা থেকে বছর বছর ইজারা দেওয়া হয়। এই নদী’টি খননের পূর্বেও ইজারা দেওয়া হতো বলে জানান তিনি। 

কেএস 

Link copied!