Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

ধ্বংসের মুখে পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়

পাবনা প্রতিনিধি: 

পাবনা প্রতিনিধি: 

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৩:৩১ পিএম


ধ্বংসের মুখে পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়

পাবনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় অবহেলায়, অযত্নে ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত। দেশের সূর্য সন্তানরা একাত্তরের যুদ্ধে নিজের জীবন দিয়ে লাল সবুজের পতাকা ও স্বাধীনতার প্রতীক এনে দিয়েছিলো বাঙ্গালী জাতিকে। আর সেই বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তাদের সন্মার্থে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদটি এখন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে  ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

জাতির সূর্য সন্তানরা তাদের জীবন দিয়ে দেশকে দিয়েছিলো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন ও স্বাধীনতা স্বাদ। আর সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মার্থে নির্মিত ভবনটিকে অবহেলা করে এখন ময়না ভাগাড় বানিয়ে রেখেছে এটা জাতির জন্য কতটা লজ্জা ও কলঙ্কের আপনিই ভাবুন সাংবাদিক ভাই। এমন কথাগুলো বললেন, ক্ষেতুপাড়ার সুশীল সমাজ। 

এ ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে নির্মিত হয়েছিলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ও তাদের সন্মার্থে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ড কার্যালয়। কিন্তু এখন শুধু বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাইনবোর্ডটি বিল্ডিং এর মূল ফটকে লাগানো আছে কিন্তু বিল্ডিংটি সম্পূর্ণ নষ্ট , অকেজ ও ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিনিত হয়েছে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে।

ভবনটির ভেতরে গিয়ে দেখা গিয়েছে ময়লা, আবর্জনা, পশু পাখির মলমূত্র ও বিভিন্ন জায়গা মাখরোশার ঝালে ভরে গিয়েছে । এ ছাড়াও ভবনটির বিভিন্ন অংশে সিমেন্ট বালি উঠে গিয়ে ভবনটি একেবারে ব্যবহারের অনপুযোগী হয়ে গিয়েছে।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় কিছু বয়স্ক মুরব্বিদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়টি অনেক বছর যাবত এরকম নষ্ট হয়ে আছে। কত চেয়ারম্যান মেম্বর আলি গেলো কিন্তু কৈ আজ পর্যন্ত দেখলাম না মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্যালয়টি কেউ ঠিক করার জন্যি কোন উদ্যেগ লিলি। 

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি দ্রুত ঠিক করবেন বলে আশ্বাস দিলেন। অথচ এ সাংবাদিক প্রায় ১০/১৫ বছর যাবত এই ইউনিয়ন পরিষদে আসা যাওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা সংসদটি একই অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধারা আকুতি করে জানান, যেখানে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যক্তি ডেপুটি স্পীকারের আসন  (সাঁথিয়া-বেড়া) ও ইউপি চেয়ারম্যান পিন্চু ও আওয়ামীলীগের। তারপরেও কেন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বসার স্থান পাইনা । এই লজ্জা শুধু আমাদেরনা ডেুপুটি স্পীকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপির তিনিও তো বীরমুক্তিযোদ্ধা। তাহলে কি জামায়াত বিএনপির চেয়ারম্যান কাশু ও জামায়াতের নিজামির পেতাত্তারা কি এখনও শক্তি খাটাচ্ছে। তাহলে কবে নাগাত এই ভবনটি নতুন করে সংরক্ষণ করা হবে প্রশ্ন থেকেই যায় ? 

আরএস

Link copied!