ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

শরীয়তপুরে রাতের আধারে প্রতিমা ভাংচুর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম

শরীয়তপুরে রাতের আধারে প্রতিমা ভাংচুর

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার পালং বাজারের পালং হরিসভা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পিছনে প্রয়াত স্বপন বনিকের বাড়িতে অবস্থিত শ্রী শ্রী শীতলা দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে শীতলা দেবীর মাটির প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৭ মার্চ) দিবাগত ভোর রাতে শ্রী শ্রী শীতলা দেবীর প্রতিমা ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। সেই সাথে দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভেঙ্গে প্রতিমার মুখে সিঁদুর মাখিয়ে দিয়েছে।

প্রয়াত স্বপন বনিকের বাড়িতে অবস্থিত শ্রী শ্রী শীতলা দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে শীতলা দেবীর মাটির প্রতিমা ভাংচুরের কথা শুনে ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ, স্থানীয় কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর বেপারী সহ শরীয়তপুরের বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 
মন্দিরের সেবক বাসনা বণিক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সকাল বেলা মাকে জল ভোগ দিয়ে যাই। মা কি এই অপমানের বিচার করবে না! শিতলা দেবীর প্রতিমাটি কারা যেন ভেঙ্গে দিয়েছে। সকাল বেলা আমি দেখতে পেলাম মায়ের প্রতিমা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

রতন বনিক বলেন, আমরা নিরাপদে থাকতে চাই৷ ভয়ভীতিতে দিন পার করতে চাই না। মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাই।

শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, ঘটনা শোনার পর সাথে সাথে আমি ঐ মন্দিরে গিয়েছি। ছিঁচকে চোর এধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমার ধারণা৷ কারণ মন্দির থেকে পূজায় ব্যবহৃত পিতলের তৈজসপত্র চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় হিন্দু স¤প্রদায়ের ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. অমিত ঘটক চৌধুরী বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেই এ কান্ড ঘটানো হয়েছে বলে আমি মনে করি৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে দেখেছি। তদন্ত করে বলা যাবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, মূলত মাদকাসক্ত ছিঁচকে চোর এধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। মন্দির কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করলে আমরা মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরএস
 

Link copied!