Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

বরগুনায় গণধর্ষণের শিকার হালিমার সংবাদ সম্মেলন

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা প্রতিনিধি

মে ২২, ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম


বরগুনায় গণধর্ষণের শিকার হালিমার সংবাদ সম্মেলন

বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মোসা: হালিমা বেগম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার (২২ মে) বিকালে বরগুনা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এই  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভিকটিম হালিমা বেগম বলেন, বেথিপাড়া, তালতলীতে আমার একই গ্রামের মৃত নজির প্যাদার পুত্র এনায়েত প্যাদাসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা ৩ জন লোক বিগত ৯/৪/২০২৩ রাত অনুমানিক ২.৩০টার সময় সিঁদ কেটে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার বড়বোন রূব্বানীর (৩য় লিঙ্গ) হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে প্রথমে আসামী এনায়েত ও  পরে অপর ২ জন আসামী আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি বিগত ৯.৪.২০২৩ তারিখ তালতলী থানায় জি আর ৪০/২০২৩ (তালতলী) নং মামলা দায়ের করি।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই মোঃ ফরিদুল ইসলামের উপর তদন্তভার অর্পণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের ব্যাপারে ভিক্টিম এর বড়বোন ও মামলার ২ নং সাক্ষী রূব্বানীকে একাধিক বার মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তাব দেন। মামলা তুলে না নিলে আমাদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিবেন বলে হুমকিও দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ব্যাকডেটে অর্থাৎ, ৫.৪. ২০২৩ তারিখ আমার বোন রূব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করলে ৭ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়। ১ নং আসামী এনায়েত একজন ইউপি সদস্য হওয়ায় এবং ধর্ষণ মামলায় জামিনে ধাকায় আমাদেরকে বার বার মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয় একাধিক বার থানায় জানালেও ওসি সাহেব কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভিক্টিম হালিমা বেগমের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত বলেন, তদন্ত কমকর্তা ভিক্টিমকে ধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, এটা হতেই পারে না। ভিক্টিমের টেস্ট রিপোর্ট পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, তবে আমরা এখনো রিপোর্টটি ভালোভাবে পড়ে দেখিনি।

আরএস
 

Link copied!