Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

সাদুল্লাপুরে মেয়ে সন্তান ছেলেতে রুপান্তর হওয়ার দাবি বাবা মায়ের

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

জুন ৫, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম


সাদুল্লাপুরে মেয়ে সন্তান ছেলেতে রুপান্তর হওয়ার দাবি বাবা মায়ের

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর হওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে চলছে নানামুখী গুঞ্জন। মেয়ে সন্তান ছেলেতে রুপান্তর হয়েছেন এমন দাবি করছেন বাবা মা।

তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ মা বাবা স্বজন প্রতিবেশিরা।

মেয়েটিকে একনজর দেখতে প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় করছে উৎসুক জনতা। আর তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে মেয়েটির বাবা মাসহ স্বজনরা। বাড়িতে থাকার পরেও বাড়িতে নেই বলে মিথ্যাচার করছে তারা।

কেন এমন লুকোচুরি প্রশ্ন এলাকাবাসীর। মেয়ে যে ছেলেতে রুপান্তর হয়েছে এ বিষয়ে করা হয়নি ডাক্তারি পরীক্ষা। লুঙ্গি শার্ট পরিয়ে ও নাম পরিবর্তন করে ছেলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে স্বজনরা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  একাধিক ব্যক্তি বলেন, মেয়েটি ছেলে হয়নি তৃতীয় লিঙ্গে পরিনত হয়েছে।কবিরাজি চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মেয়েটির মা কথা না বললেও তিনি দাবী করেন ৪০ দিন পর ছাড়া বিস্তারিত কিছু বলবে না তারা। তবে তার মেয়ে ছেলেতে রুপান্তর হচ্ছে এটা ঠিক।

এ বিষয়ে মেয়েটির দাদা বলেন আমিও শুনছি৷ আপনি কি কোন কিছু দেখেছেন?  তখন তিনি বলেন, না কিছু দেখিনি। তখন মেয়েটির মা শাহানারা শশুরকে ধমক দিয়ে বলেন আমরা বলছি সেটা আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না।

মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর নিয়ে চলছে নাটক মিথ্যাচার বিভ্রান্তিতে  সাধারণ মানুষ এমনটাই দাবী সচেতন মহলের।  এ বিষয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী ।

ঘটনাটি ঘটেছে  গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়নের চকনদী গ্রামে।

মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তর হয়েছে যে মেয়েটি  দাবী করা হচ্ছে, সেই  হাবিবা আক্তারের  নানার বাড়িতে পশু কোরবানি করে তার নাম রাখা হয়েছে হাবিল। গত শুক্রবার  পশু কোরবানি পর ঘটনা প্রকাশ করে  তার নানা- নানী। সেদিন থেকেই এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।  

মেয়েটি  ইদিলপুর ইউনিয়নের  চকনদী গ্রামের খাদেমুল, শাহানারা বেগমের সন্তান ও তিলকপাড়া তফিরন নেছা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ বিষয়ে তার সহ পাঠিরা জানায় সবাই যা শুনছে আমরাও তাই শুনছি। সে মাদ্রাসায় গত কয়েকদিন ধরে আসছে না। বাড়িতে গেলে দেখা করতে দেয় না তার পরিবারের লোকজন।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় এ নাটকের পিছনে বড় কোন উদ্দেশ্য রয়েছে।এলাকায় বেশ কিছু নতুন টোটকা কবিরাজ বা ফকিরের  আবির্ভাব  হয়েছে। মেয়েটির বাবা মা তাদের খপ্পরে পড়ে মিথ্যাচার করছে।

তাছাড়া মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই কিভাবে তারা দাবী করছে মেয়ে ছেলেতে রুপান্তর হয়েছে। এর একটা বিহিত হওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি এখনো ঐ বাড়িতে যায়নি।

আরএস

 

Link copied!