ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য বরিশালে কাশবনে প্রকৃতিপ্রেমীদের ঢল

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

অক্টোবর ২২, ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য বরিশালে কাশবনে প্রকৃতিপ্রেমীদের ঢল

প্রকৃতি অনেক রঙ্গে সাজে। কখনো সাদা রঙ্গে, কখনো কালো মেঘ, আবার কখনো সৌন্দর্যের কোনো প্রতীক নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতির মাঝে। যেখানে নির্মল দখিনের বাতাসে, পাখির ডাকে, নদীর কলকল ধ্বনিতে মানুষের মাঝে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে।

প্রতিবছর শরৎকাল ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে এমন সৌন্দর্যের প্রতীক নিয়ে কাশফুলে ভরে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস ও নগরীর বিভিন্ন স্থানের  বেশ কিছু জায়গা জুড়ে। সবুজের মাঝে কাশফুলের সৌন্দর্যকে বিমোহিত করে তোলে প্রকৃতিপ্রেমীদের ঢল।

তবে এসব স্থান গুলোকে নিরাপত্তাসহ বিনোদন কেন্দ্র’র স্থান করা হোক এমনই দাবি ফুলপ্রেমিদের। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায়, কাশফুলে অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বসন্তের থোকায় থোকায় যেমন ফুল ফোটে, গাছে জাগে কচি পাতা। ঠিক তেমনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সহ নগরীর ত্রিশ গোডাউন, দোয়ারিকা ও খয়রাবাদ সেতুর ঢালে ও সদর উপজেলা তালতলী ব্রিজ এর ঢালে, রূপাতলী পুলিশ লাইন্স ও জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দিগন্তজুড়ে ফুটে আছে সারি সারি শুভ্র কাশফুল। চোখে পড়বে এই দৃশ্য।

বিনোদনের জন্য কাশফুলের সাথে মিতালী করতে যান তারা। সেলফি আর পরিবার-স্বজন নিয়ে ছবি তুলে তারা মনের খোরাক যোগান। শরৎ কালে কাশফুল ঘিরে পর্যটকদের আনাগোনা হয়। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়। এসব স্থানে শরতের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় করেন বরিশালের অসংখ্য মানুষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রকৃতির কিছু ছোঁয়াতে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের দিনেও দেখা মিলে দর্শনার্থীদের। বিকেল নামলেই একঝাঁক বালক-বালিকে এই সৌন্দর্যের দেখতে ভীড় করে আমাদের এই ক্যাম্পাসে।

কাশফুল দেখতে আসা তরুনীরা বলেন, কাশফুলের ছোঁয়ায় নবরূপে আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা অনেক মেয়েরা নিজেকে সাজিয়ে কাশফুলের সঙ্গে মিশে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি। কাশফুল দেখতে এসে আনন্দে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। শুধু তাই নয় শরতের বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে যান্ত্রিক পরিবেশকে পেছনে ফেলে প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে কাশবনে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘কাশফুল এক ধরনের ঘাসজাতীয় জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum এরা উচ্চতায় তিন মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। নদীর তীরে জন্মানো শ্বেতশুভ্র কাশবন দেখতে খুবই সুন্দর।

বাংলাদেশের ঋতুরীতি অনুযায়ী শরতের শোভা কাশফুল।’ তিনি আরো বলেন, নদীর ধার, জলাভ‚মি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু ঢিবিতে কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর কারণ হল নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে স¤প্রসারিত হতে পারে।

এইচআর

 

Link copied!