Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪,

পদ্মার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি: হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০১:৩৪ পিএম


পদ্মার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি: হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মানদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ১৫ দিনে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড়, মাজদিয়াড় ও ভুরকা পাড়া এলাকার মানুষের কয়েক হাজার বিঘারও বেশী ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনরোধে স্থায়ী স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।

বন্যার পানি কমার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেইসাথে পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙন ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড়-কোলদিয়াড় গ্রাম থেকে ভুরকা-হাটখোলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

নদী ভাঙনে ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ধরণের উঠতি ফসলসহ অন্তত সহস্রারাধিক বিঘারও বেশী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। একইভাবে গত বছরও প্রায়  ৫হাজার বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোর মাঝেও বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চাই। তাই তাদের দাবি আশ্বাস নয় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের।

এদিকে পদ্মার ভঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ভূক্তভোগী পদ্মাপড়ের মানুষ নদীপাড়ে মানববন্ধন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন।

পদ্মার ভাঙনে ফসলি জমি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি এ্যাড. আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্। আশ্বাস নয়, সর্বগ্রাসী পদ্মার করাল গ্রাস থেকে বাঁচাতে স্থায়ী সমাধান চাই ভূক্তভোগী নদীপাড়ের অসহায় মানুষ।

এইচআর

Link copied!