বীরগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে খামারীদের ৩৬টি গরু-মহিষের মৃত্যু

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গত ৩/৪ দিন ধরে অজ্ঞাত রোগে এক খামারীর ৩২টিসহ ৩৬টি গরু-মহিষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি গরু-মহিষের মুখ দিয়ে লালা আসার কিছুক্ষণের মধ্যে মাটিতে পড়ে গিয়ে একের পর এক গরু মারা যাচ্ছে।

হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগে একের পর এক গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খামারীরা। ঘটনার পর থেকে খামারীদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় রোববার পর্যন্ত উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মৃত গীরেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষের ৩২টি গরু এবং গোবিন্দ ঘোষের ৩টি গরু ও ১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু গরু আক্রান্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারী গোপাল ঘোষ জানান, তার গরুর খামারে ১৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু রয়েছে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে খামারের বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর রাত থেকে গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়া শুরু করে।

কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই একের পর এক গরু মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না। রবিবার পর্যন্ত খামারের ৩২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে গোবিন্দ ঘোষ জানান, একই ভাবে তার খামারের ৩টি গরু এবং ১টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তার সহ প্রতিবেশীদের বেশ কয়েকটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গরু নিয়ে এলাকার মানুষ দিশেহারা এবং খামারীদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সংবাদ পেয়ে শনিবার রাত থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরীনারী হাসপাতালের ভেটেরীনারী সার্জন ডা. শামীমা বেগমের নেতৃত্বে একটি ভেটেরীনারী মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলে জানিছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওসমান গণি।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে সংবাদ পেয়ে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মৃত গরুর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সকাল থেকে নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন তিনি।

এটি ফুড এন্ড মাউথ রোগের লক্ষণ বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে এলাহী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজ কুমার বিশ্বাস  এবং বিভাগীয় ও জেলা হতে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এইচআর