Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪,

প্রেম ঘটিত কারণে বাউয়েট ছাত্র নাসিমের আত্মহত্যা

আল-আফতাব খান সুইট, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

আল-আফতাব খান সুইট, বাগাতিপাড়া (নাটোর)

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০২:০৭ পিএম


প্রেম ঘটিত কারণে বাউয়েট ছাত্র নাসিমের আত্মহত্যা
তাহমিদ হাসান নাসিম। ছবি: সংগৃহিত

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় তাহমিদ হাসান নাসিম নামে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এর এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে বাউয়েট ক্যাম্পাসের বড়াল হলে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

মৃত তাহমিদ হাসান নাসিম(২১) রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ডাঙাপাড়া (জিউপাড়া) গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নান্নু খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহমিদ হাসান নাসিম প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়। সে সুবাদে সে বাউয়েট ক্যাম্পাসের বড়াল হলের ৩১৫ নম্বর রুমে থাকত।

বুধবার সন্ধ্যায় সবার অজান্তে তার নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তার সহপাঠীসহ হলমেটরা বেশকিছু সময় ধরে দেখতে না পেয়ে তার রুমের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু নাসিমের কোন সাড়া না পেয়ে তারা পেছনের জানালায় উঁকি দিয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে ক্যাম্পাসের ছাত্র ও শিক্ষকরা সকলে মিলে রুমের দরজা ভেঙে সন্ধ্যা সাতটা ৪৫ মিনিটের দিকে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এর সিএমএইচে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

পরে তাকে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে পুনরায় কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট’র সিএমএসে নিয়ে যাওয়া হয়। আবারও সেখানকার ডাক্তার নাসিমকে মৃত ঘোষণা করলে রাত ৯ টা ২২ মিনিটে তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেয়া হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মরদেহের প্রাথমিক সুরাৎহাল তৈরি করে থানায় নিয়ে যায় থানা।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান বাউয়েট শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউয়েট শিক্ষকের বরাত দিয়ে জানান, বাউয়েট ক্যাম্পাসের বড়াল হলের ৩১৫ নম্বর রুমে তারা ৬জন থাকত। এদিন তিনজন ছুটিতে বাড়ি যায় এবং সন্ধ্যায় অন্য দুইজন রুমের বাহিরে ছিল। সে সময় সকলের অজান্তে ওই রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নাইলনের রশি টানিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যার বিষয় নিশ্চিত হলেও বিষয়টি আরও গভীর তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের পরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি নান্নু খান।

এআরএস

Link copied!