Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪,

দিনাজপুরে পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ এস্টেট রক্ষা দাবি এলাকাবাসীর

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম


দিনাজপুরে পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ এস্টেট রক্ষা দাবি এলাকাবাসীর

দিনাজপুর সদরে পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ এস্টেটের সম্পত্তির হরিলুট চলছে। এস্টেটটি রক্ষায় এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছে।

জানা গেছে, দিনাজপুর সদরে ৮নং শংকরপুর ও ১০নং কমলপুর দুটি ইউনিয়নের ভেতরে রয়েছে পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ  এস্টেট। শংকরপুর ইউনিয়নের দামোদপুর, কিসমত শালকী, যুক্তিপাড়া এবং কমলপুর ইউনিয়নের বড়গ্রাম ও পাতলশা মৌজায় গঠিত এস্টেটের ভিতরে ছিল মসজিদ, মক্তব, পুকুর ও আবাদি জমি।

গত ১৯৩৬ সালে পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ করেন। ওয়াক্ফ দলিলের শর্ত ছিল দাতা নিজেই মোতয়াল্লী থাকবেন। এরপর তার ছেলের বংশের জ্যেষ্ঠ্যপুত্র মোতয়াল্লী হবেন। এস্টেটের আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ ও মক্তব পরিচালনাসহ গরিব- মিসকিনদের সাহায্য করবে। বাকী দুই ভাগের একভাগ মোতয়াল্লীর পরিবার, আরেকভাগ অর্থ দিয়ে খাজনা পরিশোধসহ এস্টেটের উন্নয়নে ব্যয় হবে। অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা থাকবে।

এলাকাবাসীরা জানায়, পীরবক্স কবিরাজ এক ছেলে তফির উদ্দিন ও এক মেয়ে তছিমনকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পীরবক্স কবিরাজের মৃত্যুর পর পুত্র তফির বিয়ে করে সংসার করাকালীন স্ত্রী সুটিমনকে রেখে মারা যায়। তাদের কোনো সন্তান নেই।

তৎকালীন শংকরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী প্রতিবেদনে জানা যায়, মোতয়াল্লী নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে  কমলপুর ইউনিয়নের পাতলশা মৌজায় ৫৩টি বাড়ি ও শংকরপুর ইউনিয়নের যুক্তিপাড়া, শালকী বোয়ালমারী মৌজায় ২৬টি বাসাবাড়ি করার জন্য এস্টেটের জমির পজিশন হস্তান্তর করেছে। তন্মধ্যে ২৭টি বাড়ির বিষয়ে ওয়াক্ফ প্রশাসক অবগত রয়েছে।  বর্তমানে এস্টেটের ভিতরে মক্তবটির অস্তিত্ব নেই।

এলাকাবাসীরা জানান, পীরবক্সের নাতি ওসমান গণি ও তার পুত্র আব্দুল লতিফ মোতয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দলিলের শর্ত ভঙ্গ করার কারণে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক কার্যালয় গত ৫ মে ২০১৬ পীরবক্স কবিরাজ ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতয়াল্লীর পদ থেকে অপসারণ লতিফকে করে তদস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিনাজপুর সদরকে অফিসিয়াল মোতয়াল্লী হিসেবে নিয়োগ করেন। আব্দুল লতিফ সুকৌশলে সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন করে স্থগিতাদেশ করে নেয়। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে পজিশন হস্তান্তর করে চলেছে।

ইএইচ

Link copied!