Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ফরিদগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম


ফরিদগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি
ছবি: আমার সংবাদ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পৃথক স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর  ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার পরিবারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া মহিলা মাদ্রাসার ( মান্নানের দোকানের সামনে) তাকোয়া স্টোরে বিদেশ প্রেরত দুলালের মদি দোকানে ও একই দিনে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়িতে তিনটি বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এত প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উভয়স্থানে সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও হাইমচর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তাকোয় স্টোরের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত দুলাল বেপারি জানান, ২৫ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর গত দুই বছর পূর্বে বাড়িতে এসে মুদি দোকান দেই। পূর্বের মালামালের সঙ্গে রমজান উপলক্ষ্যে নতুন উঠানোসহ প্রায় দোকানে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার মালামাল ছিল। রাত একটার দিকে হঠাৎ করেই আগুন লেগে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম আসলেও ততক্ষণে আমার পুরো দোকান  ও মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার মালামাল ও সম্পদ ভষ্মীভূত হয়েছে।

কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাতে দোকান বন্ধ করার সময় বিদ্যুতের মেইন সুইচ ও সকল ধরনেরর বিদুতের সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। আমি দোকান বন্ধ করার দুই ঘণ্টা পর আগুনের ঘটনাটি সন্দেহজনক।

তিনি আরো বলেন, আমার দোকানে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, আমার দোকানে আগুনের ঘটনাটি খতিয়ে দেখলে সকল ঘটনা উদ্‌ঘাটন হবে।

পাশের দোকানের মালিক বোরহান গাজি বলেন, রাত সাড়ে এগারোটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই, এরপর স্থানীয়দের ডাক চিৎকারে রাত একটার সময় ছুটে এসে দেখি দুলাল বেপারির দোকানে আগুন জ্বলছে।

একই দিন শুক্রবার সকালে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়ির দিনমজুর খোরশেদ আলম খোকা, বিল্লাল হোসেন ও স্বামী পরিত্যক্তা লিলু বেগমের বসতঘরটি আসবাবপত্রসহ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফলে তিনটি পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিয়েছে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। আগুনে অন্তত দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো একেবারেই নিঃস্ব। রোজার সময় তাদের এমন সর্বনাশ নেমে আসায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হলো।

রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম কাউসারুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, একই দিনে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি অগ্নিকান্ডই বিদূতিক শট থেকেই।

এআরএস

Link copied!