Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

পাবনায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা প্রতিনিধি

এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম


পাবনায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা পাবনা জেলা। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে। এছাড়া দাবদাহে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস । এর আগে এ বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই বলা যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পর অন্যান্য জেলার তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সন্ধ্যাকালীন বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।

তীব্র গরমে গোটা জেলার মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকে ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।

এদিকে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা ওনাকে চিকিৎসা চিকিৎসা দিতে পারিনি। নাম-পরিচয় জানার পর আত্মীয়-স্বজন আসেন। মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যতদূর সম্ভব তাপ এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। গায়ে পাতলা কাপড় পরতে হবে। ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগীদের রোদে না যাওয়াই ভালো। এসব রোগী বাইরে বের হওয়ার পর শরীর খারাপ লাগলে দ্রুত ঠান্ডা জায়গায় যেতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

আরএস

Link copied!