Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪,

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি

মে ৪, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম


ডোমারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদের ৬ষ্ঠ সাধারণ নির্বাচন। ভোটগ্রহণের দিন যতই এগোচ্ছে, বাড়ছে উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্বাচনি কার্যালয়, গাড়ি ভাঙচুরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের পাঙ্গা বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমি ও মো. আব্দুল মালেক সরকারের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে প্রচারণা চালানোর সময় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারের নির্বাচনি পথসভা চলছিল। এ সময় বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনি মিছিল বের করেন। একসঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এমন ঘটনায় প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডোমার থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভে এসে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি বলেন, আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকেই আমাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ছিল। আমাদের দুইটি ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার ওপরও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ি এবং ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আমি শুনেছি কার ইন্ধনে তারা এটা করেছে।

এ বিষয়ে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনি পথসভায় আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। এ সময় খবর আসে, আমার নির্বাচনি অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ চেক করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি এমন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জানান, এ বিষয়ে দুই পক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!