ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বরিশালে অভিযানের পরও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

জুলাই ৫, ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম

বরিশালে অভিযানের পরও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন

বরিশাল শহরে আড়াই লাখের বেশি ফার্মের হাঁস ও বয়লার মুরগির ডিম মজুদ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার আদায় করার পরেও এখন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বরিশালের খুচরা-পাইকারি ডিমের বাজার।

গত বুধবার শহরের হাটখোলা খান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করে ৬ পাইকারি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। অনৈতিক উদ্দেশ্যে ডিম মজুদের বিষয়ে সত্যতা মিললে তাদের সতর্ক করে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কি লাইসেন্স না থাকায় খান কোল্ড স্টোরেজের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পাশাপাশি তাদের ৭ দিনের মধ্যে সকল হাঁসের ডিম ও তিনদিনের মধ্যে সকল মুরগির ডিম বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়ে আসা হয়। এমন অভিযানের প্রভাবে শহরে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে এর চিত্র পুরো উল্টো।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শহরের পাইকারি ডিমের বাজার থমথমে অবস্থায় থাকলেও খুচরা ডিমের বাজার ছিল অস্থির। দাম কমে যাওয়া তো দূরের কথা, অভিযানের নাম ভাঙ্গিয়ে সংকট দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোসহ অলিগলি পাড়া মহল্লার মুদি দোকানে শুক্রবারও চড়া মূল্যে ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা বিক্রেতাদের।

কোনো কোন জায়গায় ডিমের হালি ৫০ টাকা আবার কোথাও বিক্রি করতে দেখা গেছে আগের ন্যায় ৬০ টাকা দরে। তবে ৫০ টাকার কমে কোন এলাকায় ডিম মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

পোর্ট রোড এলাকার খুচরা ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও সতর্কতায় আড়াই লাখ ডিম মজুদ হয়নি ঠিকই তবে শহরের প্রতিদিনের ডিমের চাহিদা প্রচুর। এই আড়াই লাখ ডিম শহরে এক থেকে দুইদিনের জোগান হতে পারে সর্বোচ্চ। তাই দাম কমে যাওয়ার সাথে এর কোন সম্পর্কই নেই। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামেই ডিম কিনতে হচ্ছে এখনো। সুতরাং কম দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই।

তারা আরও বলেন, যে সকল ব্যবসায়ীদের বিক্রি বেশি তারা সবাই স্থানীয় পাইকারদের মাধ্যমে ঢাকা থেকেই ডিম আনেন। বরিশালের ব্যবসায়ীদের দাম কমানো বাড়ানোর কোনো ক্ষমতাই নেই বলে দাবি তাদের।

ঢাকা থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয় সেই মূল্য তালিকা মেনেই তাদের ডিম কেনাবেচা করতে হয়। কিন্তু বরিশালের বিভিন্ন এলাকার পোল্ট্রি ফার্ম থেকে যারা ডিম সংগ্রহ করে থাকে তারা চাইলে কিছুটা মূল্য কমিয়ে রাখতে পারেন। এ জন্যই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা পর্যন্ত ডিম বিক্রি হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার অভিযানের খবরে শহরের ডিমের বাজারে কি অবস্থা তা জানতে যাওয়া হয় বড়বাজার, চৌমাথা বাজার, নতুল্লাবাদ বাজার, বাংলাবাজার, পোর্ট রোড বাজার, সাগরদী বাজারসহ শহরের বিভিন্ন বাজারে।

তানিয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, সমাজে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের দৈনন্দিন প্রোটিনের একটি বড় উৎস হচ্ছে ডিম। মাছ-মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলতে পারলেও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম অপরিহার্য প্রায় সকল শ্রেণির মানুষের। তাই দাম বাড়লেও কিছুই করার থাকে না। ব্রয়লার মুরগির যে ডিম এক সময় ফ্রিতে দিলেও মানুষ কিনতে চাইতো না সেই ডিম এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা হালি। দেশি মুরগি বা হাঁসের ডিমের কথা তো ভুলেই গেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে বরিশাল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সাথে কথা হলে তারা জানিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদার এবং অনৈতিক উপায়ে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের দমনে তারা সব সময়ই সক্রিয় রয়েছেন। এমন অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করা হবে। এছাড়া অতি মুনাফা ভোগ এবং মজুদ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং চলছে বলেও নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।

ইএইচ

Link copied!