ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
নিখোঁজদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবি, নরসিংদীর ৬ যুবক নিখোঁজ

তারেক পাঠান, নরসিংদী

তারেক পাঠান, নরসিংদী

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

ইতালি যাওয়ার পথে  ট্রলার ডুবি, নরসিংদীর ৬ যুবক নিখোঁজ

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে  চোরাই পথে ইতালি যাওয়ার পথে  ট্রলারডুবিতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ছয় যুবক নিখোঁজ হয়েছেন।  গত  ২৫ জানুয়ারি  লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় ওই ছয় যুবক। 

নিখোঁজ ছয়জন  হলেন- রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মোস্তাক, মহেশপুর ইউনিয়নের সাপমারা এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে জুয়েল, বেগমাবাদ ঝাউকান্দি এলাকার আব্দুল ছালামের ছেলে সায়েম, আরশ মিয়ার ছেলে রাকিব, তুলাতলী এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান ও জয়নগর এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া। নিখোঁজদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

জানা যায়,  একটি   দালালচক্র,  প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে কর্মী পাঠাচ্ছে ইতালিতে ।  লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার ওই পথে (মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) দৃষ্টিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।  গত ২৫ জানুয়ারি রায়পুরার ওই ছয় যুবকসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায় একটি ট্রলার। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ রয়েছেন। তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন; জানেন না পরিবারের সদস্যরা। তবে ২০ বাংলাদেশির মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা বলেন, প্রবাসী তোফাজ্জল ও কবিরের মাধ্যমে লিবিয়ার উদ্দেশে ২৫ জানুয়ারি পাড়ি দেন ওই ছয়জন। কিন্তু ঘটনার আটদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের।

ভুক্তভোগী জুয়েলের বাবা সাদেক মিয়া বলেন, গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন জুয়েল। লিবিয়া প্রবাসী বড় ভাই কালামের মাধ্যমে ওই দেশে যান তিনি। সেখানে তোফাজ্জলের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালি যাওয়ার চুক্তি হয়। ২৪ জানুয়ারি জুয়েলের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল তার পরিবারের। এরপর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একই অবস্থা আশিক, মুস্তাক, রাকিব ও ইমরানের। ইতালি যাওয়ার পথে তারাও ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানায় তাদের পরিবার।

নিখোঁজ ছয়জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের সন্ধান পেতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসসহ প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

রায়পুরা উপজেলা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,   লিবিয়ায় ট্রলারডুবিতে ২০ বাংলাদেশি নিহতের খবর শুনেছি। সেখানে ওই ছয়জন আছে কিনা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি না জমানোর জন্যও বিভিন্ন সময় আমরা সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছি।

আরএস

Link copied!