ভোলা প্রতিনিধি:
মে ২, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি:
মে ২, ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারির দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো সহায়তার চাল পাননি ভোলার ৬৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেলার উপকূলবর্তী সাত উপজেলার জেলে পরিবারগুলো।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য—মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ। তবে কর্মবিরতিজনিত এ সময়ে সরকার ঘোষিত খাদ্য সহায়তা এখনো হাতে পাননি জেলেরা।
মনপুরার রামনেয়াজ মাছঘাটের জেলে মো. জাকির মাঝি বলেন, ‘নিবন্ধনের নামে দলীয়করণ হয়েছে। অনেক প্রকৃত জেলে বাদ পড়েছেন। তাই এখন চালও পাচ্ছি না।’
চরফ্যাশনের সাম্রাজ মাছঘাটের হোসেন মাঝি জানান, ‘৩০ বছর ধরে মাছ ধরছি। নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে ১৬-১৭ দিন কেটে গেলেও চাল পাইনি। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
লালমোহনের সেলামত মাঝি বলেন, ‘প্রকৃত জেলে হয়েও আজও নিবন্ধন পাইনি। অনেক চেষ্টা করেও কার্ড হয়নি।’
বোরহানউদ্দিনের নয়নের খাল এলাকার সবুজ মাঝির আশঙ্কা, ‘চাল না পেলে কিস্তির টাকা কিভাবে দেব, জানি না।’
নিষেধাজ্ঞার শুরুতে জেলার শত শত ফিশিং বোট উপকূলের ঘাটে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জেলেরা মাছ ধরার সরঞ্জাম মেরামতে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ দিনমজুরির কাজ খুঁজছেন, কেউ আবার ধারদেনায় জড়িয়ে পড়েছেন।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের সহায়তার চাল বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ এলেই দ্রুত বিতরণ করা হবে।’
স্থানীয়রা বলছেন, সহায়তার চাল দ্রুত সরবরাহ না করলে জেলেদের জীবন-জীবিকা চরম অনিশ্চয়তায় পড়বে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রান্তিক জেলেদের জীবনযাপন নিশ্চিতে তদারকি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও এখন জরুরি।
বিআরইউ