দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
মে ১৮, ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
মে ১৮, ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম নাহারুল মৃধা (৫৮)। তিনি উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মৃত জানবান মৃধার ছেলে।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চকরাজাপুর ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানটি সীমান্ত পিলার ৮৪/২-এস থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ভেতরে, উদয়নগর বিওপির আওতায় পরিচালিত হয়।
বিজিবি কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতার নাহারুলের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
প্রথমে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মিথ্যা নাম-পরিচয় দিলেও, বায়োমেট্রিক যাচাই ও কাগজপত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, তিনি ২০২২ সালের একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। মামলাটিতে অন্যান্য আসামিরা ৩০ বছরের সাজা পেলেও নাহারুল পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। চার মাস আগে তিনি গোপনে দেশে ফিরে আসেন এবং পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন—রাখি মণ্ডল (৪০), বিপ্লব (২৯) ও ‘কট’ জাহাঙ্গীর মিয়া (২৬)। তারা সবাই দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে পরিচিত।
বিজিবি আরও জানায়, পলাতক রাখি মণ্ডল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ। বিপ্লব ও জাহাঙ্গীর 'লালচাঁদ সন্ত্রাসী গ্রুপ'-এর সক্রিয় সদস্য এবং তারা ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নইমউদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার সঙ্গেও জড়িত।
বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান জানান, গ্রেফতার নাহারুল মৃধাকে অস্ত্র, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসহ দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিআরইউ