সফিক ইসলাম, পাবনা জেলা
জুলাই ৪, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
পাবনা সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর এলাকায় বাল্যবিবাহের আয়োজন ভণ্ডুল করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, ওই এলাকায় এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করেন।
কনের বয়স যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর বিয়ের আয়োজন বাতিল করা হয়। এ সময় বর ও কনের পক্ষকে বাল্যবিবাহ আইন সম্পর্কে সতর্ক করে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাল্যবিবাহ সম্পাদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ায়, তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে ইউএনও নাহারুল ইসলাম বলেন, “বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোথাও বাল্যবিবাহের চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা বাল্যবিবাহ সম্পাদনে সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, বাল্যবিবাহের কারণে অনেক মেয়ের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের এবং ২১ বছরের নিচে কোনো ছেলের বিয়ে সম্পাদন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
ইএইচ