আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা
মে ২১, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা
মে ২১, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামিম রেজা সাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের এক মাস পর সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা হাসেম আলী ফরাজী।
মঙ্গলবার দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান লাভলু জানান, আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহত শামিম রেজা সাজু কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দর্শনা ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং চেকপোস্টের নতুন ভবনের দোতলায় সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। গত ১৮ এপ্রিল সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটি একটি অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করা হলেও পরিবার শুরু থেকেই এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে।
মামলার এজাহারে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ, পুলিশ সদস্য লাভলুর রহমান, কনস্টেবল মিঠুন হোসেন, কনস্টেবল সহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মেহেদী হাসান, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ও কনস্টেবল সোহেল রানা।
বাদী হাসেম আলী ফরাজীর অভিযোগ, তার ছেলে বিবাহিত এবং তার পাঁচ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে কোনো সমস্যা না থাকলেও দর্শনায় বদলি হওয়ার পর শামিম পেশাগত বৈষম্যের শিকার হন। আসামিরা নিয়মিতভাবে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন, গালিগালাজ করতেন এবং হত্যার হুমকি দিতেন।
মামলায় বলা হয়, ১৭ এপ্রিল শামিম এসব হুমকি তার গ্রামের সহকর্মী কনস্টেবল সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। কিন্তু সোহেল রানা তা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বরং অভিযুক্তদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার পর কোনো এক সময় শামিম রেজাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন, যাতে আত্মহত্যা মনে হয়।
ঘটনার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিহতের পরিবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ইএইচ