আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
জুন ২, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
জুন ২, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ময়মনসিংহের বিভিন্ন পশুর হাটে জমে উঠেছে কেনাবেচা। কিন্তু হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্রেতা, বিক্রেতা এবং গবাদিপশুর বেপারিরা।
শম্ভুগঞ্জ, চুরখাই, ভাবখালী, চরখরিচা, মরাকড়ি ও জেলখানার ঘাটসহ একাধিক হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও নেই পশু চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা। ফলে অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত পশু যাচাই না করেই বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। অনেক ক্রেতা জানিয়েছেন, রোগমুক্ত পশু কিনতে গিয়ে তাদের পড়তে হচ্ছে অনিশ্চয়তার মুখে।
অপরদিকে, হাটগুলোতে নেই কোনো ভ্রাম্যমাণ জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথ বা ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ। নগদ লেনদেনে জাল টাকার আতঙ্কে আছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বা সহায়তার অভাবে তারা পড়ছেন আর্থিক ঝুঁকিতে।
যানজট পরিস্থিতিও ভয়াবহ। পশুবাহী ট্রাক, ভ্যান ও অটোরিকশার বিশৃঙ্খল চলাচলে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা অত্যন্ত সীমিত, যা জনদুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি টিম নিয়োগ, জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথ স্থাপন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
তাদের আশঙ্কা, কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কোরবানির ঈদ ঘিরে হাটগুলোতে নেমে আসতে পারে চরম বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক ক্ষতির ভয়াবহতা।
আরএস