Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫,

ফরিদপুরে এক নারীকে পাচারের দায়ে দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর প্রতিনিধি

জুন ১৮, ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম


ফরিদপুরে এক নারীকে পাচারের দায়ে দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ফরিদপুরে এক নারীকে পাচারের দায়ে মাকসুদা বিবি (৪৯) ও মর্জিনা বেগম সোনালী (৩১) নামে দুই নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ রায় দেন। 

তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামী পলাতক থাকায় আদালতে হাজির ছিলেন না।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদা বিবি সাতক্ষীরার বৈশালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঘটনাকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি জুট মিলে কাজ করতেন। অপর আসামি মর্জিনা বেগম সোনালী মুন্সীগঞ্জের হটচারীপুর এলাকার বাসিন্দা। মামলার তদন্তে জানা যায়, মর্জিনা মাকসুদা বিবির সহযোগী হিসেবে পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে একটি জুট মিলে কাজ করতেন দুই বোন। ওই জুট মিলে চাকুরীরত আসামী মাকসুদা বিবির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১২ সালের ৮ মে, দুই বোনের মধ্যে বড় বোনকে নিয়ে মাকসুদা বিবি সাতক্ষীরায় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে তাকে সুন্দরবন দেখানোর প্রলোভনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার মা রাজিয়া বেগম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তারা খুঁজে পাননি। পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভারতে থেকে ছোট মেয়ের মোবাইলে ফোন করে জানায়, তার বড় বোনকে ভারতে পাচার করে বিক্রি করা হয়েছে এবং তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ মে ভারতীয় পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করেছে।

এই ঘটনা জানাজানি হলে ২০১২ সালের ২৯ মে রাজিয়া বেগম ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। বর্তমানে পাচার হওয়া ওই নারী বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শুনানীর পর আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

ইএইচ

Link copied!