আরিফ হোসেন, বরিশাল
জুন ১৮, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
আরিফ হোসেন, বরিশাল
জুন ১৮, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় রান্না করা খাবারে বিষ মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটের সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের চারজনকে আটক করা হয়েছে।
এঘটনায় আটক চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গৃহকর্তীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম জানান, উপজেলার উত্তর বড় মাগরা গ্রামের বিজয় কবিরাজের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে খাবারের সাথে অজ্ঞান করা ওষুধ মিশিয়ে সর্বস্ব লুট করার সময়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের সহায়তায় সংঙ্গবদ্ধ চোর চক্রের চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- উজিরপুর থানার হারতা গ্রামের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে মো. সুজন হাওলাদার (৩৬), চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ থানার লতিফপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মো. আব্দুল কাদের (৪০), আগৈলঝাড়া থানার উত্তর বড় মাগরা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন বখতিয়ারের ছেলে মো. মোসলেম বখতিয়ার (৫৫) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩০)। এঘটনায় বিজয় কবিরাজের ছেলে সাগর কবিরাজ বাদী হয়ে উল্লেখিত চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
সূত্রমতে, কিছুদিন পূর্বে ওই বাড়িতে দিনমজুর হিসাবে কাজ করতে আসে আটক আসামী সুজন ও কাদের। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকেলে বাদী ও তার বাবা পার্শ্ববর্তী জলিরপাড় কীর্তন অনুষ্ঠানে যায়। এসময় মা শেফালি রানী (৪৫) বাড়িতে একা ছিল।
সন্ধ্যায় সবার জন্য রাতের খাবার তৈরী করে বসতঘরে নিয়া আসে তার মা। মায়ের কাজের ফাঁকে সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীরা ওই রান্না করা খাবাবে অচেতন করার অসুধ মিশিয়ে রাখে। মা শেফালি রানী রাতের খাবার খেয়ে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পরেন। গভীর রাতে রাবা ও ছেলে কীর্তন অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে তার মা’কে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ধাক্কা দিয়া ঘরের দরজা খুলে মাকে বিছানার উপর অজ্ঝান অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ভাতের পাতিলের মধ্যের বিষ জাতীয় মিশ্রন দেখতে পায় ছেলে সাগর।
ছেলে সাগর ঘর থেকে লাইট নিয়ে বের হয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে গ্রেফতারকৃত সুজন হাওলাদারকে একটি কাঁঠাল গাছের ডালের উপর বসা দেখতে পেয়ে তার ভিডিও চিত্র ধারন করে।
এসময় সুজন গাছ থেকে লাফিয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় চোর চোর ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অসুস্থ্য মা’কে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা খোজাখুজি করে সুজন ও মোসলেমকে একসাথে মোসলেমের বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সাথে আরও লোকজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরএস