ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রিতা খাতুন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মণ্ডলের মেয়ে এবং তার প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মণ্ডলের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে স্বামী জসিম উদ্দিনকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনীশ মণ্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোট ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণ উপস্থাপনের পর আদালত এই রায় দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলায় বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নেকবার ও অ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট গৌতম কুমার।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, “আসামিদের ফাঁসি হলে আমরা আরও খুশি হতাম। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে— আমরা তা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি।”
ইএইচ