ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখার ২৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের পরীক্ষায় ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট ট্রেইনিং’ বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর সময়মতো বোর্ডে না পাঠানোয় এই বিপত্তি ঘটে।
জানা গেছে, এ বছর মাদ্রাসাটির ভোকেশনাল শাখা থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। নিয়ম অনুযায়ী তারা লিখিত ও ব্যবহারিক উভয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু গত ১০ জুলাই প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, সবাই ফেল করেছে। পরে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল পরীক্ষা করে দেখতে পান, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট ট্রেইনিং’ বিষয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন। কারণ হিসেবে দেখা যায়, তাদের ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে পৌঁছায়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মোস্তফা কামাল ও মো. আল-আমিন জানান, “আমরা সব বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছি। শামসুদ্দিন স্যার বলেছিলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য কিছু মালামাল কিনতে হবে। আমরা তার কথামতো টাকা দিয়েছি।”
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক শামসুদ্দিন বলেন, “আমি ৮ জুলাই নম্বর পাঠিয়েছি। পরে জানতে পারি, বোর্ড তা গ্রহণ করেনি। আজ (১৩ জুলাই) নিজে গিয়ে নম্বর বোর্ডে দিয়ে এসেছি। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে সংশোধিত ফল প্রকাশ হবে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আনোয়ার মোল্লা বলেন, “আমরা ৮ জুলাই নম্বর পাঠিয়েছি। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করছি, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফলাফল সংশোধন হবে।”
ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম পাটওয়ারী বলেন, “এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন এমন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
ইএইচ