ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বিনিয়োগে স্থবির আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ১২:০৩ এএম

বিনিয়োগে স্থবির আমদানি
  • জুনে আমদানি এলসি খোলা ৫৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
  • মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি এলসি ২৫% কমেছে
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলামে ডলার কেনা ইতিহাসে প্রথম
  • রেমিট্যান্স বাড়লেও বিনিয়োগ স্থবিরতায় সংকেত

বিনিয়োগহীন অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে আমদানি কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে নতুন এক সংকট। ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার, বাড়ছে প্রবাসী আয়, কমেছে ডলারের দাম— তবুও দীর্ঘদিনের মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণে এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি উভয় ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যান নেমে এসেছে কোভিডকালের নিচে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও অর্থনৈতিক গতি মন্থর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুন মাসে এলসি খোলার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ কম। সবশেষ এত কম এলসি খোলা হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্টে, যখন দেশজুড়ে চলছিল করোনাকালীন অর্থনৈতিক অচলাবস্থা। জুন মাসেই এলসি নিষ্পত্তির হারও দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। অথচ বছরের হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৬৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। 

এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে, এলসি খোলা কমেছে ২৫ শতাংশেরও বেশি। পাশাপাশি কমেছে শিল্প কাঁচামাল, পেট্রোলিয়াম ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানিও। এর অর্থ দাঁড়ায়, নতুন বা সম্প্রসারিত কোনো উৎপাদন কার্যক্রমে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ নেই। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় ও আমদানি চাহিদা কমায় কিছুটা চাপমুক্ত হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। 

জুলাইয়ের শুরুতে ডলারের দর এক সপ্তাহে প্রায় ৩ টাকা কমে যায়। এই সময়ই বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিলামে ডলার কিনে বাজারে হস্তক্ষেপ করে। পরপর তিন দফায় ৫৫৬ মিলিয়ন ডলার কিনে বাজারে বার্তা দেয় যে, দরপতনেরও একটা সীমা থাকবে। তারপর আবার ডলারের দর বাড়তে শুরু করে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকারদের ভাষ্য, দেশে নতুন কোনো বিনিয়োগ কার্যক্রম নেই বললেই চলে। পুরনো অনেক উদ্যোগও স্থবির হয়ে আছে। ফলে আমদানি এখন অনেকটাই সীমিত হয়ে গেছে ভোগ্যপণ্যে। আর সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গতি কম থাকায় সরকারি খাতের আমদানিও আশানুরূপ নয়। 

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমদানির হারে এমন ধস খুবই হতাশাজনক। এর প্রভাব পড়বে সরকারের রাজস্ব আদায় থেকে শুরু করে ব্যাংক খাতের আয়ে পর্যন্ত।’ 

অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তফা কে মুজেরী মনে করেন, মূলধনি পণ্যের আমদানি কমার প্রবণতা বিনিয়োগ স্থবিরতার শক্ত বার্তা দেয়। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির ওপর। 

বিশ্লেষকদের পরামর্শ, সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে। এর জন্য নীতিনির্ধারণে স্থিরতা, নির্বাচনের দ্রুত সূচি নির্ধারণ ও বিনিয়োগে বাস্তবসম্মত সহায়তা জরুরি। না হলে আমদানি হ্রাস একটি চক্রে পরিণত হয়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Link copied!