ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী প্রতিনিধি

জুলাই ২৯, ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

নরসিংদীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শিল্পী আক্তার নামে এক তরুণী স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাতপাখিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে। 

অনশনরত শিল্পী আক্তার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার দড়িহাওলা গ্রামের জালাল মিয়ার মেয়ে।

মঙ্গলবার বিকেলে সাতপাখিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে শিল্পী আক্তার অবস্থান করছেন। এ খবর পেয়ে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান।

অনশনরত শিল্পী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রায় ছয় বছর আগে লেবালনের প্রবাসী মো. ইমরান মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই মাস আগে ইমরান মোল্লা প্রেমের টানে লেবালন থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসে। এরপর গত ১২ জুন ২০২৫ তারিখে পরিবারের সম্মতি না নিয়েই ৩ লাখ টাকার কাবিন মূল্যে ইসলামী শরিয়তের নিয়মে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে নরসিংদী শহরের তরোয়া মহল্লায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কেটেছিল। তবে আমার গরীব পরিবারের কারণে শ্বশুর-শাশুড়ি বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, “দেড় মাস সংসার করার পর স্বামী ইমরান মোল্লা পারিবারিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আমাকে ফেলে পিতৃভূমিতে চলে যায়। এরপর আমি কোনও উপায় না পেয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন করতে বাধ্য হই।”

শিল্পী আক্তার জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করায় তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চান। শিবপুর থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে পিতৃভূমিতে পাঠায়।

শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনও পক্ষ থেকে অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বর্তমানে শিল্পী আক্তার সকল কূল হারিয়ে দিশেহারা। পিতৃভূমিতে থাকতে পারছেন না এবং স্বামীর স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইএইচ

Link copied!