আলী হাসান, জয়পুরহাট
জুলাই ১৪, ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম
এবারের দাখিল পরীক্ষায় জয়পুরহাট জেলার চারটি মাদরাসার কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। ফলাফল প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে জেলার শিক্ষা মহলে চরম অস্বস্তি ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা এ ফলাফলকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
জেলার শতভাগ ফেল করা চারটি মাদরাসার মধ্যে দুটি কালাই উপজেলায় এবং একটি করে আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় অবস্থিত।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলে জেলায় এসএসসিতে গড় পাসের হার ছিল ৮০.৩০ শতাংশ, তবে দাখিল পরীক্ষায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৮৯ শতাংশে। জেলার মোট ২ হাজার ৩৯১ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৪৩২ জন পাস করেছে এবং মাত্র ৭৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শতভাগ ফেল করা মাদরাসাগুলো হলো—কালাই উপজেলার হারুঞ্জা দাখিল মাদরাসা ও পাঁচগ্রাম জান্নাতুল নূরী দাখিল মাদরাসা, আক্কেলপুর উপজেলার গণিপুর দাখিল মাদরাসা এবং ক্ষেতলাল উপজেলার সরাইল হাফেজিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা। এসব মাদরাসায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম ছিল। সরাইল হাফেজিয়া মাদরাসায় পাঁচজন ফরম পূরণ করলেও তিনজন পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সবাই অকৃতকার্য হয়। জান্নাতুল নূরী মাদরাসায় ১৬ জন, গণিপুরে ২৪ জন এবং হারুঞ্জা মাদরাসায় চারজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।
সরাইল হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসার সুপার মো. আজমল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মাদরাসাটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এমন ফলাফলের কারণে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শিক্ষকরা চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন।’
গণিপুর মাদরাসার সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মাদরাসা অতীতে ভালো ফল করেছে। এবার এমন ফলাফলের কারণ বুঝে উঠতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেছে।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘দাখিল পরীক্ষায় চারটি মাদরাসার কেউ পাস করতে পারেনি। কেন এমন হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইএইচ