আদিল আহামেদ চৌধুরী, লামা (বান্দরবান)
জুলাই ২৯, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং, ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যুৎ বিভাগের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ—শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ শত শত নাগরিক অংশ নেন।
তারা বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনা, অনুমাননির্ভর বিল, ঘন ঘন লোডশেডিং ও গ্রাহক হয়রানির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
প্রতিবাদকারীরা জানান, প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় লামায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় মিটার রিডিং না নিয়ে অনুমাননির্ভর বিল পাঠিয়ে গ্রাহকদের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
বক্তারা এসব সমস্যার জন্য সম্প্রতি রামু থেকে বদলি হয়ে আসা লামা বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীকে দায়ী করেন।
তাদের অভিযোগ, রামুতে তার বিরুদ্ধে রাজস্ব আত্মসাৎ ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাকে লামায় বদলি করা হয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে।
সভায় বক্তব্য দেন- সমাজকর্মী মো. কামরুজ্জামান, মো. মিজান, দুলাল, আরিফুল ইসলাম ও মো. শামসুল হক। তারা গৌতম চৌধুরীর অপসারণ, ভূতুড়ে বিল বাতিল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এক ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন, ‘যে কর্মকর্তা যেখানে যান, সেখানেই দুর্নীতি করেন। লামায় তাঁর আগমন যেন অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন চাবি ওঠানো-নামানোর নামে জনগণকে হয়রানি করছেন। শান্তিপ্রিয় লামাবাসী যদি একবার রাগে ফেটে পড়ে, তবে তাঁর পুরস্কার পাওয়ার স্বপ্নও চূর্ণ হবে।’
মানববন্ধন শেষে বক্তারা স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যাতে দ্রুত সমস্যা সমাধান হয় এবং জনদুর্ভোগ লাঘব হয়।
ইএইচ