Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

টাকায় এলসি খোলা নিয়ে মুখোমুখি বিকেএমইএ-বিটিএমএ

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম


টাকায় এলসি খোলা নিয়ে মুখোমুখি বিকেএমইএ-বিটিএমএ

দেশে ডলার সংকটের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশীয় মুদ্রা টাকায় এলসি খোলা নিয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে ব্যবসায়ীদের দুটি সংগঠন। 

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে সংগঠন দুটির নেতারা ভিন্ন অবস্থান নেন।

বিকেএমইএ জানায়, ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। রপ্তানির ডলার পেতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকায় এলসি দায় পরিশোধে অনুমতি চেয়েছে তারা। তবে বিকেএমইএর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিটিএমএ।

সংগঠনটির মতে, তারা ডলারে এলসি করে আবার ডলারে বিক্রি করে। টাকায় এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও ডলার সাশ্রয় হবে না। এটা করা হলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গের মতো হবে।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলার সংকটে আমরা কঠিন সময় পার করছি। পণ্য রপ্তানি করছি কিন্তু অনেক সময় ডলার দিতে দেরি করছে বায়ার। এতে আমরাও নতুন করে এলসি খুলতে ডলার দিতে পারছি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকায় এলসি দায় পরিশোধে অনুমতি চেয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। সীমিত সময়ের জন্য আমরা এ সুবিধা চেয়েছি।

বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে জানুয়ারির দিকে ডলার সংকট কেটে যাবে। কিন্তু মনে হচ্ছে না যে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ডলার সংকট কেটে যাবে। এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। যদি সংকট না থাকে তাহলে ভালো। সংকট সময়ে আমাদের পণ্য যেন দেশের মধ্যে কেনা হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছি এতে ডলার দেশের মধ্যেই থাকবে।

বিটিএমএ প্রতিনিধি বাদশা মিয়া বলেন, পোশাক মালিকরা সুতা কেনেন ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে। তাদের এক্সপোর্ট পেমেন্ট দিয়েই আমাদের পেমেন্ট দেয়। এখানে টাকায় এলসি খোলার আইন করা হলেও ডলার সাশ্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। আমরা কটন ইমপোর্ট করি ডলার দিয়ে আবার পেমেন্ট করিও ডলারে। এটা হলে আমরা কটনের পেমেন্ট কীভাবে দেবো। এটা করা (টাকায় এলসি খোলা) হলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গের মতো হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইডিএফ ফাইন্যান্স, ফরেন ফাইন্যান্স, টার্মলোন নিয়েছি। এটা ডলারে পেমেন্ট করতে হয়, তাহলে আমি ডলার কোথায় পাবো। এটা না করে লোকাল সুতা আছে কোটি কোটি টাকার যেগুলো অবিক্রীত রয়েছে, তারা লোকাল সুতা কিনুক, আপাতত এসব এলসি বন্ধ থাকুক।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক আমার সংবাদকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতারা টাকায় এলসির বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে। যেহেতু এর সাথে এনবিআর, কাস্টমসসহ আরও অনেকে জড়িত আছে তাই প্রয়োজনে তাদের সাথেও আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বিক বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিবে।’

টিএইচ

Link copied!