ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কাপ্তাইয়ে উদ্ভাবনকৃত নতুন জাতের কফিতে বড় সম্ভাবনা

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)

ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ০৩:১১ পিএম

কাপ্তাইয়ে উদ্ভাবনকৃত নতুন জাতের কফিতে বড় সম্ভাবনা
রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে তোলা ছবি। ছবি: আমার সংবাদ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উক্ত গবেষণা কেন্দ্র অদ্যবদি পাহাড়ের কৃষিতে নতুন নতুন ফলের জাত উদ্ভাবন করে সফলতা নিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত প্রায় বিভিন্ন ফলের ১৯টি জাত উদ্ভাবন করে সফলতা পেয়েছে। তবে এবার কফির নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন এর মাধ্যমে পাহাড়ের কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

রাইখালী পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ ৫ বছর গবেষণা চালিয়ে এ্যারাবিকা ও রোবাস্টা নামের দুইটি কফির উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন তারা। যার মধ্যে এ্যারাবিকা জাতের কফিটি বিশ্বসেরা হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত। তবে তাদের উদ্ভাবিত জাতের নাম দেওয়া হয়েছে বারি কফি-১ এবং বারি কফি-২। এছাড়া আগামী দুই বছরের পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষাবাদের আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

এবিষয়ে উক্ত গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, নতুন উদ্ভাবনকৃত কফির জাতটির বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। তৎমধ্যে পাহাড়ী অঞ্চলের যেকোন এলাকায় ছাঁয়াযুক্ত স্খানে এর আবাদ করা সম্ভব। ফলে এটি বিভিন্ন বাগানে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কফি চাষ শুরু করার তিন থেকে চার বছর পর গাছে ফল আসা শুরু হয়ে যায়। এবং প্রতিটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি কফি ফল পাওয়া সম্ভব। সে হিসাবে বাগানে প্রতি হেক্টরে ৭ থেকে ৮ মেট্রিক টন কফি ফল উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া কফি সাথী ফসল হওয়াতে আলাদা খরচ কিংবা পরিচর্যার তেমন প্রয়োজন হয়না। কফির চাষ অনেকটা সহজ হওয়ায় এটি চাষে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি জানান।  এছাড়া ইতিমধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় অনেক চাষী কফি চাষ শুরু করে দিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

কফি চাষে জড়িত স্থানীয় কয়েকজন চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনেকটা কম খরচে এবং ঝামেলা ছাড়া কফি চাষ শুরু করা সম্ভব। এবং অল্প সময়ে ফলনটা ভালো আসে। এছাড়া কয়েকজন চাষী বাগানে প্রায় কফির দুইশত পর্যন্ত চারা লাগিয়েছে। বিশেষ করে এই কফি চাষ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গার প্রয়োজন হয়না। যেকোন বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লাগানো যায়। অন্য গাছের ছাঁয়া পেলেই এই কফি চাষের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। তাই চাষীরা আশা করছেন, কফি চাষের মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

এদিকে কফির এই নতুন জাতের উদ্ভাবনের বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই রাইখালী পাহাড়ী কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নিজাম উদ্দীন জানান, বিশ্বসেরা এ্যারাবিকা জাতের এই কফি যেহেতু আমরা পাহাড়ী এলাকায় আবাদ করে সফলতা পেয়েছি তাই আমরা এটি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। আমরা আশা করছি আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে পাহাড়ের প্রত্যেকটা স্থানে এই কফির আবাদ শুরু করতে পারবো। এছাড়া বাংলাদেশে কফির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে এবং বিশ্বে কফি একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। তাই পাহাড়ে কফি চাষের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করছি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি অঞ্চলের কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, কফি চাষ করার পদ্বতিটা যেমন সহজ তেমনি এই কফি পরিবহন করাও সহজ এবং কফি সংরক্ষনের ও সুবিধা রয়েছে। তাই আশা করা যাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলে কফি চাষ বাড়ানো গেলে সফলতা পাওয়া সম্ভব হবে।

এআরএস

Link copied!