ক্রীড়া প্রতিবেদক
আগস্ট ২০, ২০২৫, ১১:১৩ পিএম
বিশ্ব ক্রিকেট একটু একটু করে এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রতিনিয়ত তীব্র সমালোচনা হয়। সেই সমালোচনা অনেক ক্রিকেটারই ভালোভাবে নেন না। মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ার এখন শেষ লগ্নে। এই কারণেই কিনা সাবেক অধিনায়ক স্বীকার করে নিলেন বাংলাদশের ক্রিকেটের বাস্তবতা।
বসুন্ধরাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মুশফিক বলেছেন, বিশ্ব ক্রিকেট যতদূর এগিয়েছে, বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে।
মঙ্গলবার ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের ট্রায়াল দেখতে হাজির হয়েছিলেন মুশফিক। আগের দিন সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ প্রোগ্রামে থাকার কারণে যেতে পারেননি তিনি। আজ সেখানে গিয়ে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।
শুরুতেই মুশফিক ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলেছেন, ‘এটা তো অবশ্যই ভালো লাগে। যেটা আমি বললাম যে এর আগেও আমি তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। তো অনেকদিন পর আবার তাদের কাছে আসতে পারলাম। খুবই ভালো লাগে। একদিক দিয়ে অনেক কষ্টও লাগে কারণ যেটা আমি এর একটু আগেও বললাম যে তাদের ফ্যামিলির লড়াইটা অন্যরকম। তো এটাকে আমরা যতটুকু সাধারণ হিসেবে দেখতে পারি এবং তাদেরকে সবসময় মানসিকভাবে ওই সাপোর্টটা দিতে পারি যে তারাও আমাদের মতো একজন মানুষ এবং তারা চাইলেই আমাদের চাইতে আরও দ্বিগুণ ভালো কাজ করতে পারে।’
এরপর বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি মুশফিক, ‘এটা (বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্ক) দেখে আমাদের সবারই লজ্জা লাগা উচিত। কারণ এ রকম একটা গ্রুপ বাংলাদেশে... যেটা সানোয়ার ভাই, জাভেদ ভাই বললেন... ক্রিকেট তো দূরের কথা, (বাংলাদেশের) কোনো জাতীয় দলেরই এ রকম সুবিধা নেই। যেটা কিনা খুবই মৌলিক সুবিধা হওয়া উচিত। কারণ আপনি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ক্রিকেটার বের করে আনা কঠিন।’
বসুন্ধরার সুযোগ-সুবিধা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উল্লেখ করে মুশফিক আরও বলেছেন, ‘এই সুযোগ-সুবিধা দেখে আমাদের নীতি-নির্ধারকরা যদি উজ্জীবিত না হয়, তাহলে আফসোস ছাড়া আর কিছু বলার নেই। তবে এটা অবশ্যই প্রেরণাদায়ী একটা জিনিস। একটু দেরি হলেও উনাদের (বসুন্ধরা) মতো এত বড় একটা গ্রুপ এই কাজটা করেছে। আশা করি, এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার উপকৃত হবে, অনেক মানুষ উপকৃত হবে এবং এটা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।’
একদিন আগে স্থানীয় হোটেলে বিসিবি প্রধানের সঙ্গে কী আলাপ হলো তা সরাসরি না বললেও মুশফিক ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক কিছুই দেখছেন। উইকেট কিপার এই ব্যাটারের প্রত্যাশা আগামীর ক্রিকেটারদের জন্য ভালো একটি পরিবেশ তৈরি করতে জোর দিয়েছে বিসিবি, ‘বাস্তবায়ন যত দিন না হবে, এসব বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না। আমরা তো ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দিকে, আশা করবো পরের প্রজন্মের জন্য এ রকম পরিবেশ যেন দিতে পারি, যাতে তারা নিয়মিত সব জায়গায় গিয়ে খেলতে পারে। ও রকম মাঠ যেন করে দিয়ে যেতে পারি, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি।’
এরপরই সেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুশফিক, ‘বিশ্ব ক্রিকেট যত দূর এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এদিক থেকে যদি আমরা সেই সাপোর্টটা দিতে পারি, তাহলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।’