আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
নিপীড়কের বিনাশ করে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ— এমন বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়।
শনিবার সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।
হিন্দু পুরাণ মতে, দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য শ্রীবিষ্ণু কৃষ্ণরূপে অবতার হয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
পৃথিবীতে অশুভ শক্তিকে হটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সত্য ও সুন্দরকে। ন্যায়নীতি আর মানবিকতা যখন পাশবিক শক্তির কাছে পরাজিত হয়, ঠিক তখনই মানবজাতির কল্যাণে ধরাধামে শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হন।
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, যুগে যুগে এভাবেই ভগবান তার সৃষ্টিকে বাঁচাতে ও শুভশক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। মানুষের মনে শুভবুদ্ধির উদয় ঘটান। আর তখনই পৃথিবীতে পরাজিত হয় অশুভ শক্তি।
এই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথির দিন বিশেষভাবে উদ্যাপন করেন হিন্দুরা। উপাসনা আর নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মরণ ও শ্রদ্ধা করেন পবিত্র শক্তির রূপ শ্রীকৃষ্ণকে।
সনাতন ধর্মের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশে আজ সরকারি ছুটি। এদিন বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
এছাড়া জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এদিকে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক বর্ণাঢ্য জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা ও শ্রীকৃষ্ণপূজা অর্চনা।
জেএইচআর