নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১, ২০২৫, ১১:১৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১, ২০২৫, ১১:১৮ এএম
ঈদ সামনে রেখে হঠাৎ করেই মসলার বাজারে আগুন লেগেছে। এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, শুকনা মরিচ—প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাজারে গেলে সাধারণ ভোক্তাদের এখন চোখ কপালে ওঠে, নাকের জল চোখে গড়ায় মসলা কিনতে গিয়ে।
রাজধানীর কাওরান বাজার, খিলগাঁও, রামপুরা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৩০০ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ টাকা। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০০–৮৫০ টাকা, লবঙ্গ ১,৫০০ টাকার ঘরে।
কাওরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহবধূ মুর্শিদা বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এলাচ ১৬০০ টাকা কেজি থেকে এখন ৬৩০০ টাকায় উঠেছে! দোকানদার যা খুশি তাই দাম বলছে, জিজ্ঞেস করলেই বলে ‘দাম বেড়েছে, কিছু করার নাই’।”
ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, ডলার সংকট ও আমদানিতে জটিলতা এই দামের পেছনে মূল কারণ। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটিকে অজুহাত বানিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা লুটছে কিছু আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ী।
এক খুচরা ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমদানিকারক ও পাইকারি পর্যায়ে অনেক সময়ই গায়েবি সংকট তৈরি করা হয়। এর ফলে খুচরা বাজারে আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করি।’
বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবি করা হলেও বাস্তবে এর তেমন কোনো প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে কোনো নজরদারি নেই বললেই চলে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারে স্বচ্ছতা আনতে নিয়মিত নজরদারি, আমদানি প্রক্রিয়ার জটিলতা দূরীকরণ এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নইলে এমন চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
বিআরইউ