Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি চিকিৎসক

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

অক্টোবর ২, ২০২২, ১১:৪২ এএম


নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত বাংলাদেশি চিকিৎসক

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ড. রায়ান সাদী। ক্যানসার রোগীসহ নানা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্তদের নিরাময়ে বিশেষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ চেয়ারম্যান ও সিইও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকান ড. রায়ান সাদী। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

‘নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ’ ওয়েবসাইট চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন তালিকায় ৩৪৩টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছে। এরমধ্যে ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নোবেল কমিটি এই মনোনয়ন দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রায়ান সাদীর প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ ওয়েবসাইট।

পাবনায় জন্ম নেওয়া রায়ান সাদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৯২ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।
এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় রায়ান সাদীর নাম আসার বিষয়টি নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রায়ান সাদী ডা. দীপু মনির বন্ধু্। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের-কে ৪০ ব্যাচের সহপাঠী।

ফেসবুকে পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।
শান্তিতে নোবেলের বিষয়টি বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এ বছরও এমনই কিছু ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার নাম আলোচনায় এসেছে। ৭ অক্টোবর অসলোতে দেওয়া হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।

এর বাইরে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি প্রচারকারীদের কেউ। এ তালিকায় আছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নামও। নরওয়ের নোবেল কমিটি চাইলে এ ক্ষেত্রে আরও নতুন কোনো চমক হাজির করতে পারে।

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

এসএম

Link copied!