Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫,

দেখা হচ্ছে না ইউনূস-টিউলিপের

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুন ১২, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম


দেখা হচ্ছে না ইউনূস-টিউলিপের

যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করছেন না অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারপ্রধানের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বৈঠক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, বিষয়টি আইনি। এটি আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।”

গত ৪ জুন, বাংলাদেশে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনের উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি পাঠান টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ কিংবা বিকেলের চা পানের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

প্রথমে ইউনূস চিঠি পাননি বলে জানালেও, ১১ জুন চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চিঠির জবাব দেওয়া হবে কিনা, তা আইনিভাবেই নির্ধারিত হবে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক এই বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে চেয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, “আমি আশা করি, এই বৈঠক দুর্নীতি দমন কমিশনের তৈরি ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি আমার মায়ের বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার আত্মীয়তার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করতে চাই।”

টিউলিপ আরও লিখেছেন, “আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্মেছি এবং গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। দেশটি আমার হৃদয়ের খুব কাছের হলেও সেটি আমার জন্মস্থান নয়। আমি সেখানে থাকি না এবং আমার কর্মজীবনও সেখানে গড়ে ওঠেনি।”

তিনি অভিযোগ করেন, “দুদক লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে ঢাকার এলোমেলো ঠিকানায় কাগজ পাঠাচ্ছে এবং পুরো বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্রিফ করছে। এটি আমার দায়িত্ব পালনে ও দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে টিউলিপ সিদ্দিক, তাঁর মা শেখ রেহেনা এবং তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁরা ৭,২০০ স্কয়ারফুটের একটি জমি দখল করেছেন।

তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। তিনি জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যোগাযোগ করেনি।

এই বিতর্কের মধ্যেই চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য সরকারের ইকনোমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক।

ইএইচ

Link copied!