ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

চীন কি সত্যিই ভারতের ৬০ কিমি ভূখণ্ড দখল করেছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম

চীন কি সত্যিই  ভারতের ৬০ কিমি ভূখণ্ড দখল করেছে?

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অরুণাচল প্রদেশের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনের সেনারা। তারা সেখানে ক্যাম্প করে অবস্থান করে বলেও দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অরুণাচলের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় চীনের সেনার ক্যাম্পের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা।

ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি ওই অঞ্চলে ঘাঁটি করেছে চীনের সেনারা। চীন এই ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত। তবে চীনা সেনারা কয়েকদিন অবস্থানের পর সেখান থেকে চলে গেছে বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

দ্য ডনলিটপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাপাপু এলাকায় গভীর বনে আগুন ধরানো, পাথরের গায়ে রং ব্যবহার করে লেখা চীনের নাম এবং চীনা খাদ্যসামগ্রীর ছবি দেখে বোঝা যায়, সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ আগে চীনের সেনারা ঢুকেছিল।

ছবিতে দেখা যায়, পাথরের গায়ে ইংরেজিতে ২০২৪ সাল লেখা রয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের মালিকানা দাবি করার অংশ হিসেবে অনুপ্রবেশের পর চীনা সেনাবাহিনী এসব কৌশল ব্যবহার করে বলে জানা যায়।

এ ঘটনার পর ভারত সরকার প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-এর খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে চীনা দখলদারির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করেছেন কিরণ রিজিজু। তিনি দাবি করেছেন এসব খবর সত্যি নয়।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কিরণ বলেছেন, ভারতের জমিতে ঢুকে যদি তারা তাদের ভূখণ্ড বলে লিখে রেখে যায়, তবে তা সত্যি হতে পারে না।

অরুণাচলের বিজেপির এই সংসদ সদস্য বলেন, চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকায় টহলে ‘ওভারল্যাপিং’ (দুপক্ষই যাতায়াত করে)। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয়, এলাকা দখল করা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএনআই‍‍`কে কিরণ রিজিজু বলেছেন, অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা আছে যেসব পুরোটাই অনির্ধারিত। শুরু থেকেই এসবের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভারতীয় বাহিনী এবং চীনা বাহিনী উভয়ের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ক্রস করে এবং দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকার কারণে মাঝেমধ্যে টহল দল অনির্ধারিত এলাকায় যায় এবং তারা সেখানে চিহ্ন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কিছু জিনিস মাটিতে ফেলা হয়।

এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকায় টহলে ‘ওভারল্যাপিং’ (দু’পক্ষই যাতায়াত করে)। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে।

উল্লেখ্য, অরুণাচল ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর অন্তর্ভুক্ত একটি রাজ্য। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটির সঙ্গে চীনের তিব্বতের ১১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। চীন প্রায়ই সম্পূর্ণ অরুণাচল প্রদেশের ওপর নিজের কর্তৃত্ব দাবি করে। বহুবার এই সীমান্ত বিবাদটি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আজও কোনো সমঝোতা হয়নি।

বিআরইউ

Link copied!