আদালত প্রতিবেদক
মে ৫, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
আদালত প্রতিবেদক
মে ৫, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম আজ (সোমবার) থেকে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় থাকতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, আপিল বিভাগ শামসুন্নাহার বেগমের পক্ষে নির্দেশনা দিয়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালতকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ একটি রায়ে কলাবাগান থানার সংশ্লিষ্ট বাড়িতে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজের বসবাসে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে রায় দেন এবং বিচারিক আদালতের ‘স্থিতাবস্থা’ আদেশ বাতিল করেন।
শুনানিতে শামসুন্নাহার বেগমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী ও ব্যারিস্টার আতিকুল হক। অপরদিকে, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. সাইফুল করিম।
ব্যারিস্টার আতিকুল হক বলেন, “উত্তরার ১১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেন।”
তিনি আরও জানান, এরপর উক্ত সম্পত্তির ভোগদখল ও মালিকানা নিয়ে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি পৃথক দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আরজিতে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ দাবি করেন, তার মা শামসুন্নাহার বেগম ১৯৯১ সালে সম্পত্তিটি ক্রয় করেন এবং ১৯৯২ সালে স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন। পরে ১৯৯৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তসলিম উদ্দিন সেই সম্পত্তি তুরিন আফরোজকে হেবা (দানপত্র) করেন।
অন্যদিকে, শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাবে বলেন, তসলিম উদ্দিন কখনোই তুরিন আফরোজকে উক্ত সম্পত্তি দান করেননি। বরং শামসুন্নাহার ১৯৯৭ সালে সম্পত্তিটি তার ছেলে শাহনেওয়াজকে হেবা করেন। পরবর্তীতে শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে ১৯৯৯ সালে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করা হয়, যেখানে তারা ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন।
ইএইচ