ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পদ্মা-মেঘনায় দুই মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ

আব্দুল কাইয়ুম

মার্চ ১, ২০২৩, ০৯:৫৭ এএম

পদ্মা-মেঘনায় দুই মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ

ইলিশের অভয়াশ্রম এলাকায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে দুই মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে এ কর্মসূচি সফল করতে জেলেদের সচেতন করতে জলে-স্থলে প্রচার-প্রচারণা করছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলার পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ছয়টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচরে, মতলব ও দক্ষিণ উপজেলার মেঘনার ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত। অভয়াশ্রমের কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে এ চার উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বেন। সরকার জেলার নিবন্ধিত ৪৪ হাজার জেলের মধ্যে ৪০ হাজারের জন্য প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া দেবে। জানুয়ারি মাসের চাল বিতরণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের চাল বিতরণ চলছে। চার হাজার জেলের চাল বরাদ্দ না আসায় তাদের পরিবার পরিজনের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

জেলেরা বলছেন, সরকার নদীতে অভিযান দিলে তারা মাছ ধরতে নদীতে নামেন না। কিন্তু জেলার বাইরের জেলেরা এসে জাটকা ধরে নিয়ে যায়। এ ছাড়া কিছু মৌসুমি জেলেও নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে নামে।

চাঁদপুর কান্ট্রি ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, অভয়াশ্রমের সময় কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে জেলেরা চরম বেকায়দায় পড়ে। তাই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে কিস্তির টাকা আদায় বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাই। এ ছাড়া বরাদ্দ না আসায় জেলার চার হাজার নিবন্ধিত জেলে চাল পায়নি। এই চার হাজার জেলের জন্য দ্রুত চাল সহায়তার দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, রাত ১২টা থেকে চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার নদী অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। তিনি বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ চাল এ বছর অনেক আগেই পেয়েছি এবং অনেক ইউনিয়নে বিতরণ শেষ হয়ে গেছে। এবার জেলায় ৪০ হাজার পাঁচ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তারা প্রতি মাসে (ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে) ৪০ কেজি হারে ১৬০ কেজি চাল পাবে।

আমরা আশা করি, যেহেতু এবার জেলেরা সময়মতো চাল পেয়েছে, তাই তারা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। দুই মাসের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নদীতে টহলে থাকবে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা। আর স্থলপথে থাকবে জেলা পুলিশ।

এআরএস

Link copied!