আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০৫:২১ পিএম
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের-সর্বযুগের-সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের একটি চেতনা ও অধ্যায়ের নাম। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক যা আজ ঐতিহাসিকভাবে সমাদৃত।
বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুস্থ, সবল জ্ঞান, চেতনা সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন, শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক মানুষের উন্নত সমৃদ্ধ এক আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুননির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে `এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেছেন।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি`র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং ইআরডিএফবি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য ও অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে যা যা দরকার ১৯৭০ এর নির্বাচনি ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু তা তুলে ধরেছিলেন। সকল প্রকার অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণার উন্নয়ন এবং নারী ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯২ ডলার থেকে মাত্র ৩ বছরে ৩ গুন বাড়িয়ে তা ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে উন্নিত করেন। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা ছিলো মূলত এদেশের খেটে-খাওয়া অসহায় কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর দরিদ্র মানুষের উন্নয়নকেন্দ্রীক। এখন যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজের সাথে জড়িত তাদের উচিত বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনকে অনুসরণ করে সকল অসমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রধান আলোচক অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনার মূল দর্শন ছিল, কাউকে বেশি ধনী হতে দেওয়া যাবেনা এবং কেউ গরীব থাকবেনা। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যা হবে তার রূপরেখা বঙ্গবন্ধু এঁকেছিলেন স্বাধীনতার পূর্বেই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনার মূল লক্ষ্য।
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে বঙ্গবন্ধুই প্রথম একটি পরিকল্পনা কমিশন গঠন এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। উন্নত ও এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে কৃষি, শিল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়ন কিভাবে সাজাতে হবে তা ৭০ এর নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু তুলে ধরেছিলেন।
এইচআর