আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৭, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৭, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
দেশে শিশু দারিদ্র্যের হার প্রায় ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় শিশু দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে শিশু দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণেরও বেশি।
বুধবার (৭ মে) এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মাসিক ইকোনোমিক আপডেট ও আউটলুক প্রকাশ করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এদিন মূলত এপ্রিল মাসের রিপোর্ট প্রকাশ করে জিইডি।
সম্প্রতি জিইডি এবং ইউনিসেফের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শিশু দারিদ্র্যের এক উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বয়সের ভিত্তিতেও শিশু দারিদ্র্যের হারে ভিন্নতা রয়েছে। শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের শিকার, যাদের মধ্যে এই হার ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর ৬-১৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১৫-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে তা আরও কমে ১৩ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, সব বয়স গ্রুপেই গ্রামীণ এলাকায় শিশু দারিদ্র্যের হার শহরাঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ৬-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ১৫-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই চিত্র শিশুদের মৌলিক চাহিদা ও পরিষেবা প্রাপ্তিতে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়, যা লক্ষ্যভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
শুধু তাই নয়, শিশু দারিদ্র্যের হারে উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক বৈষম্যও দেখা গেছে। রংপুর বিভাগে শিশু দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ, যা ২৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ, যেখানে এই হার ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ঢাকা বিভাগে শিশু দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে এই হার তুলনামূলকভাবে কম ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
জিইডি জানায়, এই বিশ্লেষণ বাংলাদেশে শিশু দারিদ্র্যের হারের ওপর বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণের উল্লেখযোগ্য প্রভাব তুলে ধরে। এই বৈষম্য মোকাবিলায় এবং শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।
আরএস