জামালপুর প্রতিনিধি:
জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান না ঘটলে, আজ যারা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছেন, বর্তমান রাজনৈতিক শক্তিগুলো নির্বাচনের স্বপ্নও দেখার সুযোগ পেত না।’ — বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর অভিযোগ এনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অথচ বাস্তবতা হলো, এই গণআন্দোলন না হলে দেশে কোনো নির্বাচনেরই আলোচনা হতো না।’
সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যদি ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় না নামত, তাহলে দেশের মানুষকে আরও চার বছর ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার’ অধীন নির্বাচনহীন অবস্থায় থাকতে হতো। আমরা শুধু একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই চাই না—চাই নিপীড়নের বিচার, আর একটি কাঠামোগত সংস্কার, যেখানে কারও হাতে আর এককভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকবে না।
তিনি বলেন, শহীদদের পরিবার টাকা চায় না, তারা চায় মর্যাদা—চায় সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন, যার জন্য তাদের সন্তান রাজপথে প্রাণ দিয়েছে। আজকের নতুন বাংলাদেশে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথেই এনসিপি কাজ করছে।
সম্প্রতি ঐকমত্য কমিশনের পুলিশ সংস্কার প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে পুলিশ দলীয় নয়—জনগণের বন্ধু হবে। নির্বাচন কমিশন হবে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক।
আন্দোলনের অন্যতম দাবি ‘জুলাই সনদ’ এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে সনদ ঘোষণা করতে হবে। দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে যারা এখনো রাজনৈতিক ঐক্যে আসেননি, তাদের প্রতি আহ্বান জানাই—আসুন, জাতির ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করুন।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন— এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান এবং মশিউর রহমান শুভ। তাঁরা সবাই রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার এবং ‘জুলাই চেতনা’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
বিআরইউ