Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪,

সরকার হটানোর আন্দোলনে বিএনপি-কল্যাণ পার্টির ঐকমত্য

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম


সরকার হটানোর আন্দোলনে বিএনপি-কল্যাণ পার্টির ঐকমত্য

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন করতে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এমনটি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, আন্দোলন কর্মসূচি ও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে আমাদের ঐকমত্য হয়েছে।

রোববার (২ অক্টোবর ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সংলাপ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনায় আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা যে কয়েকটি প্রধান বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো অর্থাৎ যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। 

এরমধ্যে প্রধান দাবি দুই-একটা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছি। এই সরকারের পদত্যাগের ব্যাপারে একমত হয়েছি। সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত হয়েছি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া, যাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে তিনিসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছি।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, যুগপৎ আন্দোলন কবে শুরু হবে সেই তারিখটা প্রকাশ না করার জন্য আমরা একমত হয়েছি। একটা বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে। আপনারা মেহেরবানি করে তার জন্যে প্রস্তুত থাকতে পারেন।

তিনি বলেন, আমি একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা আমি মনে করি যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম সেটা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ আমাদের যারা ভালোবাসেন আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হবো। এখানে জয় ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নাই।

দ্বিতীয় দফা সংলাপ কেন ব্যাখ্যা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম দফা সংলাপে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম যে, একটা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব। 

দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা কোন কোন ইস্যুতে আন্দোলনটা করবো সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে এসেছি। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে এই সংলাপ হয়। সংলাপে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, মাহবুবুর রহমান শামীম, জামাল হোসেন, আবু হানিফ, আবু ইউসুফ।

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রথম দফায় বিএনপি মহাসচিব ২০ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোসহ মোট ২৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন।

টিএইচ

Link copied!